ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২

যে কারণে মাছের জবান কেড়ে নিয়েছেন আল্লাহ্!

প্রকাশিত: ২৩:০১, ২৮ জুলাই ২০২৫

যে কারণে মাছের জবান কেড়ে নিয়েছেন আল্লাহ্!

ছবি: সংগৃহীত

মাছ আমাদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত একটি প্রাণী। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি, পৃথিবীর অন্যসব প্রাণীর জবান থাকলেও মাছের জবান নেই কেন? কেন মাছের জবান কেড়ে নেয়া হলো এবং মৃত অবস্থায়ও খাওয়া হালাল করা হলো? আসলে এর পেছনে রয়েছে একটি চমকপ্রদ ঘটনা। 

 

 


একবার হজরত আলী (রা.) কে এক ব্যক্তি প্রশ্ন করলেন- হে আলী, পৃথিবীর অন্যসব প্রাণীর জবান থাকলেও মাছের কেন জবান নেই এবং মাছ কেন পানিতে বসবাস করে? জবাবে হজরত আলী (রা.) বলেন- মাছেরও জবান ছিল এবং তারা কথা বলতে পারত। কিন্তু তারা নিজেদের ওপর জুলুম করার কারণে মহান আল্লাহ তাদের জবান কেড়ে নিয়েছেন। 
পরে ওই ব্যক্তি আবারও প্রশ্ন করলেন হে আলী, মাছেরা নিজেদের ওপর কী জুলুম করেছিল? তখন হজরত আলী (রা.) পুরো ঘটনা বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ইবলিস আদম (আ.) সিজদা দিতে অস্বীকার করায় আল্লাহ তা’আলা তাকে বিতাড়িত করেন এবং দুনিয়াতে পাঠিয়ে দেন।
কিন্তু ইবলিশ দুনিয়াতে আসার পর সব ধরনের প্রাণীদের কুমন্ত্রণা দিতে লাগল। সবার প্রথমে সে কুমন্ত্রণা দেয় মাছকে। ইবলিশ মাছকে বলে- সাবধান। মানুষ এসে পৃথিবীতে জুলুম অত্যাচার করে ঘুরে বেড়াবে, তোমাদের জীবিত অবস্থায় টুকরো টুকরো করে কেটে খাবে। সে সময় মাছেরা জল ও স্থলে চলাচল করতে পারত এবং কথাও বলতে পারত। 

 

 


মাছেরা ইবলিশের এই কথা শুনে সমুদ্রের অন্যান্য প্রাণীদের মানুষের বিরুদ্ধে এসব কথা বলতে এবং সবাইকে একত্রিত করতে লাগল। তখন মহান আল্লাহ তাআলা মাছের কথা বলার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি স্থলে চলাচলও বন্ধ করে দেন। এরপর থেকে মাছ আর কথা বলতে পারে না এবং শুধু পানিতেই বসবাস করে।


শুধু তাই নয়, মাছের জন্য মহান আল্লাহ নতুন একটি বিধান জারি করেন। তা হলো- মাছ জবাই করে খাওয়ার প্রয়োজন নেই। তাদের জীবিত কিংবা মৃত উভয় অবস্থায় কাটা যাবে এবং খাওয়া যাবে। মূলত মাছ ছাড়া অন্য কোনো প্রাণী জবাই করার আগে মৃত অবস্থায় খাওয়ার জায়েজ নেই। এ জন্য অন্য সব হালাল প্রাণীকে আল্লাহর নাম নিয়ে জবাই করার বিধান থাকলেও মাছের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়।

ছামিয়া

×