ছবি:সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক প্রভাবশালী সদস্য ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের শূন্যতায় তার নির্বাচনী আসন নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব সংকট চলছিল। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর সাংগঠনিক নেতা নিয়ে সৃষ্টি হয় ধূম্রজাল। বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হলে সংকট উত্তরণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় দলীয় সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার দায়িত্ব পেলেন নোয়াখালী জেলা বিএনপি।
সোমবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ নির্দেশনা দেন। বৈঠকে তিনি লন্ডন থেকে স্কাইপির মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন।
দলীয় সূত্র জানায়, নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশদ আলোচনা হয় এবং দলের নানা বিষয় উঠে আসে। সাংগঠনিক কার্যক্রমকে গতিশীল করতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জেলা নেতৃবৃন্দকে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক নির্দেশনা প্রদান করেন। পাশাপাশি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা কমিটি গঠনের বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
জানা যায়, বৈঠকে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম হায়দার বিএসসি নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) উপজেলায় বিএনপির সাংগঠনিক অভিভাবক শূন্যতার বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অবহিত করেন। তখন এক প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) নির্বাচনী এলাকা দেখভাল করবে জেলা বিএনপি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম জেলা কমিটির ওপর ন্যস্ত করেছেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক দলনেতা আহমেদ আজম খানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো, যুগ্ম-আহ্বায়ক এডভোকেট এবিএম জাকারিয়া, সদস্য সচিব হারুনুর রশীদ আজাদ, সদস্য গোলাম হায়দার বিএসসি এবং সদস্য এডভোকেট আবদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
মারিয়া
