ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১

ঝুট ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, যুবদলের ৩ নেতা বহিষ্কার

নিজস্ব সংবাদদাতা, গফরগাঁও

প্রকাশিত: ২৩:৪১, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ঝুট ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, যুবদলের ৩ নেতা বহিষ্কার

ছবি : সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকায় ঝুট ব্যবসা নিয়ে যুবদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

তারা হলেন, ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউর রহমান ও একই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান প্রধান।

এছাড়া হবিরবাড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আবু সাঈদ জুয়েলকে ভবিষ্যতে দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সেজন্য সতর্ক করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শক্তি প্রদর্শন পূর্বক দখলবাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল স্থানীয় যুবদলের চার নেতার বিরুদ্ধে। এনিয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে দখলবাজির প্রমাণ পাওয়ায় ওই তিনজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নিবে না। যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী তাদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে যুবদল নেতা আবু সাঈদ জুয়েলকে সতর্ক করা হয়েছে।

যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় যুবদলের এক নেতা বলেন, বহিষ্কৃতরা শক্তি প্রদর্শন করে ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিল। এ নিয়ে সংঘর্ষও হয়েছে। এতে দলের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। ফলে তদন্ত কমিটি বহিষ্কার করেছে। এমন সিদ্ধান্তে খুশি ক্লিন ইমেজের যুবদল নেতাকর্মীরা।

বক্তব্য জানতে চাইলে ভালুকা উপজেলা যুবদলের সভাপতি তারেক উল্লাহ চৌধুরী বলেন, দল তদন্ত করে দখলবাজিতে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর দুপুরে উপজেলার মায়ের মসজিদ এলাকার রাইদা কালেকশন নামের তৈরি পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে নেওয়াকে কেন্দ্র করে হবিরবাড়ি ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি মজিবর মণ্ডল ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান গ্রুপের সঙ্গে যুবদল নেতা শামীম গ্রুপের সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন। এসময় ১৩টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
 

শেখ আবদুল আওয়াল/মো. মহিউদ্দিন

×