ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২

এবিএম খায়রুল হক

গণতন্ত্রের হন্তারক গৃহপালিত প্রধান বিচারপতি

খালিদ ইবনে আমিন

প্রকাশিত: ১৮:১৬, ২৯ জুলাই ২০২৫

গণতন্ত্রের হন্তারক গৃহপালিত প্রধান বিচারপতি

উচ্চ আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে গণতন্ত্র হত্যার মহানায়ক শেখ হাসিনা, আর সেই বন্দুকের ট্রিগার চেপেছেন সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন চরম বিতর্কিত প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতবর্ষের ইতিহাসে কোনো দেশের প্রধান বিচারপতির গ্রেপ্তার হওয়া ইতিহাসে বে-নজির। এমনকি দুনিয়ার আর কোনো দেশে প্রধান বিচারপতি গ্রেফতার হয়েছেন কিনা, তা আমাদের জানা নেই। একজন প্রধান বিচারপতির গ্রেপ্তার হওয়া নিঃসন্দেহে জাতি হিসেবে অতি লজ্জাকর ঘটনা আমাদের জন্য, আমাদের বিচার ব্যবস্থার জন্য এক কলঙ্ক তিলক। কিন্তু তিনি যে অপকর্ম করেছেন তার যথোপযুক্ত বিচার অবশ্যই করতে হবে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, আগামী দিনে আর কেউ যেন এমন দুঃসাহস না দেখায়।
ঢাকার যাত্রাবাড়ী এবং নারায়ণগঞ্জের মোট তিনটি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর মধ্যে রয়েছে জালজালিয়াতি করে রায় দেওয়ার অভিযোগ। এছাড়া রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
দেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এই বিচারিক দুর্বৃত্তের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন খায়রুল হক তার কলমের এক খোঁচায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেন। তার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেয়। তাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অবৈধ হয়ে যায়। ফতোয়া অবৈধ ঘোষণার রায় দেন তিনি। হাইকোর্টে থাকাকালীন শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার রায়ও তিনি দেন। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক নন, এ রায়ও তিনি দিয়েছিলেন। 
প্রধান বিচারপতির আসনে বসেই তিনি বিতর্কিত দুজনকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক হিসেবে শপথ পাঠ করান। এই দুই বিচারপতির মধ্যে একজন হলেন বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান এবং অন্যজন বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস বাবু। যিনি ১৭ নভেম্বর ১৯৮৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামী ছাত্রশিবির নেতা আসলাম হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন।
সে সময় তিনি জাসদ ছাত্রলীগ করতেন। একজন খুনীর বিচারপতি হিসেবে শপথ অনুষ্ঠানের দিন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্রতিবাদের ডাক দেন। এই বিক্ষোভ চলাকালে ৪ নভেম্বর ২০১০ সালে তাকে শপথ পড়ান খায়রুল হক। এই হত্যা মামলা বাতিলের জন্য হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ হাইকোর্ট বিভাগও রায় দিয়ে বলেছিলেন মামলাটি নিম্ন আদালতে বিচারযোগ্য। অথচ এমন একজন খুনিকে উচ্চ আদালতের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দান পৃথিবীর নিকট ইতিহাস তো দূরের কথা অনাদিকালেও খুঁজে পাওয়া ভার।
দেশের আইনজীবীরা বলছেন, হাসিনার কৃতদাস ছিলেন খায়রুল হক। হাসিনার নির্দেশে বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছেন তিনি। তার অবিচারের ফলে তিনি আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছেন। হাসিনার বিরুদ্ধে যত মামলা তাকেও ততগুলো মামলায় অভিযুক্ত করা হোক।
তার কারণে দীর্ঘ ১৭ বছর হাজার হাজার মানুষ নির্যাতন, গুম, হত্যার শিকার হয়েছেন। তিনি প্রধান বিচারপতি হওয়ায় ছাত্র জনতার আন্দোলনে হাজার হাজার মানুষকে জীবন দিতে হয়। তার কারণে শেখ হাসিনা স্বৈরাচার হতে বাধ্য হয়েছেন।
খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ, চিকিৎসার নামে ত্রাণ তহবিলের টাকা গ্রহণ, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজউকের প্লট গ্রহণ এবং হাইকোর্টে আগাম জামিনের এখতিয়ার কেড়ে নেওয়া উল্লেখযোগ্য।
সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের কারণে ইতিহাসের জঘন্য আয়নাঘর তৈরি হয়েছিল। আর সেই ঘরে ভিন্ন মতের মানুষদের আটক রেখে পাশবিক নির্যাতন করা হতো। উচ্চ আদালতে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করে হাজার, হাজার মানুষ হত্যার পথ উন্মুক্ত করে অগণিত মায়ের বুক খালি করেছেন, স্ত্রীকে করেছেন স্বামী হারা, সন্তানকে করেছেন ইয়াতিম। বেগম খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে এক কাপড়ে বের করে  দেওয়া হয়েছিল খায়রুল হকের এক আদেশে। তিনি গণতন্ত্র ধ্বংসের নাটের গুরু। দেশের জনপ্রিয় নির্বাচনী ব্যবস্থা কেয়ারটেকার সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করা ছিল ইতিহাসের জঘন্যতম অপরাধ।
আপিল বিভাগের সাত বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়ের মূল অংশে ছিল, পরবর্তী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে। অথচ ওই অংশকে চূড়ান্ত রায়ে গায়েব করে দেন খায়রুল হক। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলে তার সঙ্গে একমত হন মোজাম্মেল হোসেন, সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ও সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
বিচারিক ক্ষমতার চরম অপব্যবহার করে এই সাবেক প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশের মান মর্যাদা বিশ্বের দরবারে ভূলুণ্ঠিত করেছেন। গণতন্ত্রের কবর রচনা করে, রীতিমতো তিনি শেখ হাসিনার পক্ষ্যে নির্লজ্জ অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষের পরিচয় দিয়েছেন। আওয়ামী বাকশালী ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় আইনি কাঠামো দাঁড় করিয়েছেন। আওয়ামী সরকারের সকল অপকর্মের আইনি বৈধতা দেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়েছেন।
সাংবিধানিক বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়ে তিনি সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের জনগণের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের পক্ষ্যে রায় দিয়েছেন। পদে পদে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। 
বাংলাদেশে গণতন্ত্র হত্যার মাস্টার মাইন্ড এবং মেইন আর্কিটেক্ট হলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক। যিনি তার কলঙ্কিত রায়ের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট বানিয়েছিলেন।
তার এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত যাতে বিচারাঙ্গনে ভবিষ্যতে কোনো নতুন খায়রুল হকের জন্ম না হয়। জাতি তার এমন বিচার দেখতে চায়, তাকে দেখে যেন আগামী দিনের বিচারকরা সাবধান হয়ে যান।
দেশের আইন বিশেষজ্ঞরা তাকে একজন গৃহপালিত প্রধান বিচারপতি হিসেবে মূল্যায়ন করছেন। তার অপকর্মের পুরস্কার হিসেবে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করার বিনিময়ে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান পদ বাগিয়ে নিয়েছিলেন। বিষয়টি প্রধান বিচারপতির মান-মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করেছে। তার বিচারিক কুকর্মের দৃষ্টান্ত ভূরি ভূরি। এসব কর্মকাণ্ড দেশের বিচারব্যবস্থাকে করেছে কলঙ্কিত।
২০১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান খায়রুল হক। একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁর নিয়োগ কার্যকর হয়। পরের বছরের ১৭ মে তিনি অবসরে যান। ২০১৩ সালে শেখ হাসিনা তাকে পুরস্কার হিসেবে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেন। প্রাথমিকভাবে তিন বছরের জন্য ওই নিয়োগ হলেও পরে বেশ কয়েক দফায় ওই মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। ৫ আগস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর ১৩ আগস্ট তিনি আইন কমিশনে চেয়ারম্যানের পদ ছাড়েন। গৃহপালিত রায় দেওয়ার মাধ্যমে তিনি আওয়ামী লীগ সরকার থেকে নানান ধরনের অবৈধ  সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন, এমন অভিযোগ গণমাধ্যমে প্রকাশিত।
সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের অপকর্মের ফিরিস্তি নানাবিধ, তার অনেক বিতর্কিত রায়ের মধ্যে অন্যতম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকদের আগাম জামিনের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া। খায়রুল হক, মোজাম্মেল হোসেন ও সুরেন্দ্র কুমার সিনহা মিলে একটি আগাম জামিন আবেদন আপিলে রায়ের মাধ্যমে কেড়ে নেন। তখন থেকে হাইকোর্ট বিভাগে আগাম জামিন দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আগাম জামিনের জন্য কেউ আবেদন করলে, নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইতে একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হতো, যা এখনো বহাল রয়েছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে ২০১০ সালের ১৩ ও ১৪ নভেম্বর উচ্ছেদ করা হয় ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল রোডের ৬ নম্বর বাড়ি থেকে। এ উচ্ছেদের বিচারিক খলনায়ক ছিলেন খায়রুল হক, মোজাম্মেল হোসেন ও সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এই বিচারকরা কোনো ধরনের শুনানি ছাড়াই একতরফাভাবে চেম্বার রায়ের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের চূড়ান্ত রায় দেন।
দুদক সূত্রে আমরা জানতে পারি, ২০০৩ সালে বিচারপতি খায়রুল হক পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ পান। বরাদ্দের শর্ত মোতাবেক ১ম কিস্তির সাড়ে ছয় লাখ টাকা পরিশোধ না করায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) বরাদ্দ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। এখানে পুরো টাকা না দিয়ে ৬ বছর পূর্বের ১ম কিস্তির টাকার চেক জমা দেন, যা নগদায়ন হয়নি। তারপরও অবসর গ্রহণের পরে যাবতীয় পাওনা পরিশোধের শর্তে তাকে অবৈধভাবে প্লট হস্তান্তর করা হয়। তিনি পরবর্তীতে ২০০৯ সালে বিগত সরকারের সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে পুনরায় আইন ও বিধিবহির্ভূতভাবে প্লট হস্তান্তর গ্রহণ করেন।
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিশনের অংশ হিসাবে রাজউক ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এবিএম খায়রুল হক কর্তৃক বিধিবহির্ভূতভাবে প্লট হস্তগত করার অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
খায়রুল হক হাইকোর্টে বিচারপতি থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিকিৎসা সহায়তা চেয়ে আবেদন করেন। এরপর তাকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ২০০৯ সালের ২৭ জুলাই ১০ লাখ ৩৭ হাজার ২৫০ টাকা অনুদান দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত পে-অর্ডার তিনি জমা দেন তার সোনালী ব্যাংকের সুপ্রিম কোর্ট শাখার ব্যাংক হিসাবে। পে-অর্ডার জমা দেওয়ার দিনই তিনি নগদ উত্তোলন করেন ৯ লাখ টাকা।
২০০৯ সালে হাইকোর্টের বিচারপতি থাকাকালে জিয়াউর রহমান নন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক বলে রায় দেন বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। রায়ে জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক উপস্থাপন করে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ, দলিলপত্র’র তৃতীয় খণ্ড বাতিল ঘোষণা করেন। এই খণ্ডটি দেশ-বিদেশের সব স্থান থেকে বাজেয়াপ্ত ও প্রত্যাহারেরও নির্দেশ দেন খায়রুল হক। রায়ে বলা হয়, যারা এরকম ইতিহাস বিকৃতির সঙ্গে জড়িত, তারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। দেশের সব মাধ্যমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্যক্রমে মুক্তিযুদ্ধের আওয়ামী বয়ান সন্নিবেশ করার বাধ্যবাধকতার  নির্দেশ দেন সরকারকে।
কতটা অমানবিক হিংসুটে বিচারপতি ছিলেন খায়রুল হক। আইন কমিশনে গাড়িচালক হিসেবে চাকরি করতেন এসএম সামসুল আলম। ২০১৩ সালে ক্ষমতা অপব্যবহার করে সামসুল আলমকে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠান খায়রুল হক। একজন সামান্য গাড়ি চালকও তার আক্রোশ থেকে রেহাই পায়নি। সম্প্রতি তিনি চাকরি ফেরত চেয়ে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর আবেদন করেছেন।
তার হঠকারী রায়ের মাধ্যমে রাজনৈতিক ডাকাত ও মাফিয়াদের হাতে গুম, খুন, ধর্ষণ, ব্যাংক লুণ্ঠনসহ সব অপকর্মের লাইসেন্স ও হাতিয়ার তুলে দেওয়া হয়েছিল ফ্যাসিবাদীদের হাতে। সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ চেয়ারে বসে দেশ ও জাতির এত বড় ক্ষতি আর কেউ করেনি যতটা করেছেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক। কোনো ক্রমেই তিনি তাঁর দায়িত্বের মর্যাদা উপলব্ধি করতে পারেননি, কিংবা করেননি। নিঃসন্দেহে তিনি আমানতের খেয়ানত করেছেন। মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা তার কর্মের মাধ্যমে অর্জন করতে হয়। কর্মের মধ্য দিয়েই ঘৃণা বা ভালোবাসা তৈরি হয়। খায়রুল হকের ঘটনায় অনেক কিছু শেখার আছে। তার ক্ষেত্রে জাতি শুধু ন্যায়বিচারই প্রত্যাশা করে। ন্যায়বিচারের মাধ্যমে তিনি ইতিহাসের শিক্ষণীয় শাস্তি পাবেন, এমনটিই আশা দেশবাসির। জাতি এখন তাঁর সুষ্ঠু বিচার এবং ন্যায্য শাস্তিই দেখার অপেক্ষায়।

লেখক : সাংবাদিক

প্যানেল/মো.

×