ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৬ আগস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২

আর যেন ২০২৪-এর রক্তাক্ত অধ্যায় দেখতে না হয়: তারেক রহমান

প্রকাশিত: ২১:১৮, ৬ আগস্ট ২০২৫

আর যেন ২০২৪-এর রক্তাক্ত অধ্যায় দেখতে না হয়: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের জনগণের সামনে এখন নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার এক অভূতপূর্ব সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি মনে করেন, এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে জনগণ যদি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তি অর্জন করে, তাহলে ভবিষ্যতে আর কেউ দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না এবং বাংলাদেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারবে না।

মঙ্গলবার রাজধানীসহ সারা দেশে বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ‘বিজয় র‌্যালি’ উপলক্ষে দেওয়া ভার্চুয়াল ভাষণে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “আমাদের ভাই-বোন, সন্তান স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন। আর কখনো যেন আমরা ২০২৪ সালের মতো রক্তাক্ত অধ্যায় দেখতে না পাই।”

গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার

তারেক রহমান জনগণের উদ্দেশে বলেন, “আপনার নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা, পরিবারের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নির্ভার, নির্যাতনমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়।”

তিনি বলেন, “গণতন্ত্র ও আইনের শাসন না থাকলে কেউই নিরাপদ নয় নারী, পুরুষ, সংখ্যাগরিষ্ঠ কিংবা সংখ্যালঘু। তাই রাষ্ট্রে জনগণের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত অধিকারগুলোর সুষ্ঠু প্রয়োগ এখন অত্যন্ত জরুরি।”

রাজনৈতিক ভিন্নমত থাকলেও জাতীয় ইস্যুতে ঐক্যের আহ্বান

বক্তব্যে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে জাতীয় ইস্যুতে, বিশেষ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আলোচনা হবে, মতবিনিময় হবে, কিন্তু মুখ ফিরিয়ে থাকলে চলবে না।”

বিএনপির রূপরেখা ও সংস্কার প্রস্তাব

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি ইতিমধ্যেই একটি দফার মাধ্যমে জনগণের সামনে রাষ্ট্র, সরকার ও রাজনীতির কাঠামোর রূপরেখা তুলে ধরেছে। একই সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব ও সকল গণতান্ত্রিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

শেষে তারেক রহমান বলেন, “দেশ ও জনগণের কল্যাণে এই সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য বিএনপি জনগণের সমর্থন ও সহযোগিতা চায়।”

তিনি জানান, “আমরা চাই একটি প্রকৃত অর্থে স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে, যেখানে আর কখনো কেউ ২০২৪ সালের মতো রক্তাক্ত অধ্যায় দেখতে না পায়।”

Jahan

×