
ছবি: সংগৃহীত
চাঁদপুরের মতলব উত্তরে দীর্ঘদিন যাবৎ ইয়াবা ও গাজার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে কলাকান্দা ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তাইজুল ইসলাম শ্যামল নামে এক মাদক ব্যবসায়ী এখন প্রশ্ন হলো-কিভাবে তিনি দিনের পর দিন প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে? এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য সূত্রে জানা গেছে, মাদক সম্রাট তাইজুল ইসলাম শ্যামল চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে মাদক এনে মতলব উত্তরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেন। তার বিভিন্ন ইউনিয়নে রয়েছে সেলসম্যান। তার পেছনে রয়েছে একজন প্রভাবশালী যুবলীগ নেতাও। তার হয়েই কাজ করে শ্যামল। সেই যুবলীগ নেতার ছত্রছায়ায় কারণেই শ্যামল এতদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলো। আর এলাকার কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে হতে হয় বর্বর নির্যাতনের শিকার। সেই যুবলীগ নেতার ভয়ংকর সব অপরাধের কথা এলাকার সবার জানা থাকলেও ভয়ে তার নাম কেউ প্রকাশ করে না।
মাদক সম্রাট তাইজুল ইসলাম শ্যামল শুধু মাদক ব্যবসা করে না, সেই যুবলীগ নেতার নির্দেশে চাঁদাবাজিসহ নানান রকম অপরাধ কর্মকাণ্ডের সাথেও জড়িত। শ্যামলের একটি সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনীও রয়েছে।
চাঁদপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল আমিন রুহুলের আস্থাভাজন হয়ে কলাকান্দা ইউনিয়নসহ আশপাশের এলাকায় সাধারণ মানুষের জমি দখল, বাড়ী ঘর ভাংচুর, লুটপাট করতো। পরর্বতীতে সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম মোহনের বিশ্বস্তও আস্থাভাজন হয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতো এই যুবলীগ নেতা, তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করতো, দখল করে নিতো মাছের ফিশারীও ভরোপিট। প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলা দিয়েও হয়রানি করা হতো। কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে মতলবের বিভিন্ন জায়গায় চাঁদা-বাজি,জায়গা দখল, ও মাদকের ব্যাবসা চালিয়ে যেত। নদীতে অবৈধ ভাবে বালুকাটা থেকে শুরু করে, চোরাই তেলের ব্যবসার সাথেও জড়িত ছিলো এই যুবলীগ নেতা শ্যামল।
গত (০৫ আগস্ট) বিজয়ের ২দিন আগেও শ্রী-রায়েরচর ব্রীজ ছাত্রদের উপর হামলা চালিয়েছেন এই যুবলীগ নেতা তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছাত্রদের উপরে সেই হামলার একটি ভিডিওতে দেখা যায় যুবলীগ নেতা শ্যামল দেশীয় অস্ত্র রামদা হাতে সরাসরি অংশ নেয়। সেই দিনের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয় দাউদকান্দি কলেজের একজন ছাত্র।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কলাকান্দা ইউনিয়নের মৃত খালেক মিয়ার ছেলে কলাকান্দা ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। মাদক ব্যবসা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ। (৫আগস্ট) স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ছাত্র আন্দোলনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে কয়েক দিনের জন্য গা-ডাকা দেয় যুবলীগ নেতা শ্যামল। এলাকার স্থানীয় লোকজন স্বস্তিতে থাকে। স্থানীয়দের অভিযোগ কিছুদিন পালিয়ে থেকে যুবলীগ নেতা শ্যামল এখন এলাকায় আবারও সক্রিয় মাদক ব্যবসায়।
এ বিষয়ে মাদক সম্রাট ও যুবলীগ নেতা তাইজুল ইসলাম শ্যামলের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করে নাই।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. রবিউল হক জানান, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। যেখানেই মাদকের তথ্য পাবো, সেখানেই অভিযান চলবে।
আলীম