
ছবি: সংগৃহীত।
জাতীয় পরিচয়পত্রে (NID) বয়স সংশোধনের প্রয়োজন অনেক সময়েই দেখা দেয়। কারও বয়স কমানো বা বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে এক, তিন, পাঁচ, সাত, আট কিংবা ১০ বছরেরও বেশি। এ ধরনের সংশোধনের জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে দিয়েছে আবেদন প্রক্রিয়া।
বয়স পরিবর্তনের ক্যাটাগরি অনুযায়ী শ্রেণিবিন্যাসঃ
- ১-৩ বছর পরিবর্তন: সাধারণ ক্যাটাগরি
- ৫-৭ বছর পরিবর্তন: "খ" ক্যাটাগরি
- ৮-১০ বছর পরিবর্তন: "গ" ক্যাটাগরি
- ১০ বছরের বেশি পরিবর্তন: "ঘ" ক্যাটাগরি (সর্বোচ্চ পর্যায়ে অনুমোদন প্রয়োজন)
যেসব ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে:
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত গেজেট অনুযায়ী বয়স সংশোধনের জন্য নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি অনুসারে বিভিন্ন ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
- শিক্ষাগত সনদপত্র: পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি, অনার্স, মাস্টার্স কিংবা সমমান
- জন্ম নিবন্ধন সনদ (অনলাইন কপি)
- চাকরির বই/এমপিও/সুপারিশপত্র (যদি প্রযোজ্য হয়)
- পেনশন বই ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার প্রত্যয়নপত্র
- ওয়ারিশের NID এবং সম্পর্ক প্রমাণকারী দলিল
- পূর্বে ইস্যুকৃত পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স (প্রযোজ্য হলে)
- সিভিল সার্জনের বয়স প্রমাণের জন্য রেডিওলজিক্যাল টেস্ট রিপোর্ট
- স্বামী/স্ত্রীর NID, সন্তানের NID (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
- কাবিননামা, মুক্তিযোদ্ধা সনদ ইত্যাদি (যদি প্রাসঙ্গিক হয়)
- তদন্ত প্রতিবেদন: অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অফিস থেকে প্রয়োজনীয় তদন্ত
যেখানে আবেদন জমা দিতে হবে:
- ১-৭ বছরের সংশোধনের জন্য জেলা নির্বাচন অফিস
- ৮-১০ বছরের জন্য আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস
- ১০ বছরের বেশি হলে মহাপরিচালক, NID উইং-এর অনুমোদন প্রয়োজন
নাম পরিবর্তন/সংশোধনের ক্ষেত্রেও প্রয়োজন হলফনামা:
নিজের বা পিতামাতার পুরো নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের হলফনামা প্রয়োজন হবে, যা একজন আইনজীবীর সহায়তায় তৈরি করা যেতে পারে।
জাতীয় পরিচয়পত্রে বয়স পরিবর্তন বা সংশোধন একটি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। যথাযথ ডকুমেন্ট ও নির্দেশনা অনুসরণ করে আবেদন করলে সহজেই সংশোধন সম্ভব।
নুসরাত