
ছবি : সংগৃহীত
ব্রণ ত্বকে হঠাৎ করে একে দেখা দিলেই চিন্তার ভাঁজ পড়ে কপালে। বিশেষ করে কোন অনুষ্ঠানের আগের দিন যদি ব্রণের ফোলা ফোঁড়া দেখা দেয়, তখন তো দুশ্চিন্তা আরও বাড়ে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ থাকলে বা ব্রণটি খুব ফোলা হলে তা একদিনে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব নয়। কিন্তু সঠিক যত্ন নিলে প্রদাহ কমানো ও ফোলা ভাব অনেকটাই কমিয়ে ফেলা যায়।
তবে মনে রাখা জরুরি—ব্রণ কমাতে কী করবেন সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ হলো কী করবেন না। কারণ ব্রণ চেপে ধরলে বা ভুল পদ্ধতিতে চিকিৎসা করলে মারাত্মক সংক্রমণও হতে পারে।
নিচে রইল দ্রুত ব্রণ কমানোর কিছু কার্যকরী উপায় এবং সতর্কতা—
✅ কী করবেন?
১. মুখ পরিষ্কার রাখুন
হালকা ফোম বেসড বা জেল বেসড ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। অতিরিক্ত তেল ও ধুলোময়লা ত্বক থেকে দূর হলে ব্রণ দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে।
২. টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করুন
ব্রণের উপর সরাসরি টি ট্রি অয়েল লাগালে এর অ্যান্টিসেপটিক ও প্রদাহনাশক উপাদান সংক্রমণ রোধ করে।
৩. অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা জেল সরাসরি ব্রণের উপর লাগিয়ে রাখলে তা ঠান্ডা ভাব দেয় এবং প্রদাহ ও জ্বালাভাব কমায়।
৪. বরফ ব্যবহার করুন
একটি পরিষ্কার কাপড়ে বরফ জড়িয়ে ব্রণের উপর কয়েক সেকেন্ড করে লাগান। ফোলাভাব ও লালচে ভাব দ্রুত কমে যাবে।
৫. চন্দনের প্যাক
চন্দনের গুঁড়ো ও গোলাপ পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ব্রণের উপর লাগান। এটি ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে এবং ব্রণ শুকাতে সাহায্য করে।
কী করবেন না?
১. ব্রণ চাপবেন না
চাপ দিলে তা ভেতরে আরও সংক্রমণ ছড়াতে পারে এবং স্থায়ী দাগও হতে পারে।
২. বারবার ব্রণে হাত দেবেন না
হাতে লেগে থাকা ব্যাকটেরিয়া ব্রণের সংক্রমণ বাড়িয়ে দিতে পারে।
৩. মেকআপ এড়িয়ে চলুন
ব্রণের ওপর মেকআপ করলে রোমছিদ্রে আরও তেল জমে এবং পরিস্থিতি খারাপ হয়।
৪. পানি কম খাবেন না
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করলে ত্বক ভিতর থেকে হাইড্রেট থাকে এবং ব্রণের প্রবণতা কমে।
৫. মানসিক চাপ নেবেন না
চাপ ও দুশ্চিন্তা হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে, যা ব্রণকে বাড়িয়ে দিতে পারে।
বিশেষ পরামর্শ:
ব্রণ যদি নিয়মিত ওঠে, ফোটে বা ব্যথা করে, তাহলে ঘরোয়া পদ্ধতির পাশাপাশি একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই উত্তম। ভুল চিকিৎসা বা অবহেলার কারণে তা গভীর ক্ষতের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
সুস্থ ত্বক, সুন্দর জীবন—সচেতনতাই হোক ব্রণ মুক্তির প্রথম ধাপ!
Mily