
ফ্রান্সে ছড়িয়ে পড়েছে এবছরের সবচেয়ে বড় ও ভয়াবহ দাবানল। দক্ষিণাঞ্চলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়া আগুনে এখন পর্যন্ত একজন নারী মারা গেছেন এবং আরও একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
ফরাসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই বৃদ্ধা নারী নিজের ঘরের ভেতরেই পুড়ে মারা যান। আগুন নেভাতে গিয়ে ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ দমকলকর্মী, যাদের মধ্যে দুজন এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দাবানলটি শুরু হয় মঙ্গলবার অড অঞ্চলের লা হদুদ গ্রামের কাছে। এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার হেক্টরের বেশি এলাকা পুড়ে গেছে, যা ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের আয়তনের চেয়েও বড়। এতে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং অনেকের বাড়িঘর পুড়ে গেছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে মাঠে নেমেছে ১,৮০০’র বেশি দমকলকর্মী। তাদের সহায়তায় রয়েছে ৫০০টি যানবাহন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তীব্র বাতাস, প্রচণ্ড গরম ও শুকনো উদ্ভিদ এই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার জন্য দায়ী।
জোঁকিয়ের গ্রামের মেয়র স্থানীয় পত্রিকাকে জানিয়েছেন, “আমাদের গ্রাম প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। চারপাশে শুধু কালো ছাই আর পোড়া গাছ। এটা যেন মৃত্যুর উপত্যকা।”
ফায়ার সার্ভিসের মুখপাত্র এই দাবানলকে “নজিরবিহীন” আখ্যা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে ২৫টির বেশি বাড়ি পুড়ে গেছে এবং আড়াই হাজারেরও বেশি পরিবার বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি দমকলকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে জনগণকে সতর্ক থাকার এবং নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ মানতে বলেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অঞ্চলটিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কম বৃষ্টিপাত এবং পুরনো আঙুরক্ষেতগুলো সরিয়ে ফেলার কারণে আগুনের ঝুঁকি আগের চেয়ে বহুগুণ বেড়েছে।
মিমিয়া