.
অধিকার
আহমেদ সাব্বির
প্রজাদের সম্পদ অধিকার কেড়ে
রাক্ষস হয়ে রাজা উঠছিল বেড়ে
লুটপাট নিপীড়ন
মানল না জনগণ
ছাত্ররা ক্ষেপে গেল
রাজপথ কেঁপে গেল
মুক্তির ঘ্রাণ নিল
বুক পেতে প্রাণ দিল
রক্ত ঝরাতে রাজা যেই এল তেড়ে মসনদ কেড়ে নিল কানে চড় মেরে।
*
শরতের হাসি
আবু বকর সিদ্দিক
বৃষ্টিভেজা ঋতুর শেষে
হাসছে শরৎ রানি,
সকাল-দুপুর টাপুরটুপুর
ঝরছে না আর পানি।
গাছে গাছে কচি পাতা
ফুটল সারি সারি,
বৃক্ষবধু কুঁচি দিয়ে
পরলো যেন শাড়ি!
শরৎ এলে বিলে-ঝিলে
শাপলা-শালুক ভাসে,
সাদা সাদা মেঘকুমারী
নীল গগনে হাসে।
শিউলি হাসে জবা হাসে
হাসে যে কাশফুল,
সুরভিত শরৎ রানির
হয় না কোনো তুল।
*
লেজকাটা নেকড়ে
রেবেকা টপি
নেকড়ে গেলো গভীর বনে
বড্ড ক্ষুধা পেটে,
সারাটা দিন হয়নি খাওয়া
মরছে ছুটে ছুটে।
লেজটা সে যে হারিয়েছে
শিকার ধরতে গিয়ে,
লজ্জায় এখন দিন কাটে তার
কাটা লেজটা নিয়ে।
*
ইশকুল ছুটি
শাকিব হুসাইন
ঢঙ ঢঙ ঢঙ ঘন্টা বেজে
ইশকুল হলো
ছুটি...
ডিগবাজিটা
দেই যে ঘাসে
খুশির লুটোপুটি।
সবুজ মাঠে ফড়িং বেশে
তিড়িংবিড়িং লাফাই—
প্রজাপতির
পাখায় চড়ে
ফুলে-ফুলে ঝাঁপাই।
ঘুড়ি হয়ে নীল আকাশে
ইচ্ছে মতো
উড়ি...
পাখির মতো ছন্নছাড়া
দেশ বিদেশে ঘুরি।
.
গড়ব সোনার দেশ
আব্দুস সামাদ আজিজ
অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেলাম জয়
দেখিয়ে দিলাম জন্মভূমি স্বৈরাচারীর নয়।
করছি স্মরণ তাদের, যারা দিলেন তাজা খুন
অপশক্তি রুখে দেওয়াই দেশপ্রেমীদের গুণ।
আমরা হলাম সূর্য তরুণÑ গায়ে আছে বল
ভয় করি না বুলেট-বোমা কিংবা গরম জল
দেশের প্রয়োজনে সৃজন করি আলোড়ন
ভালোবাসার বিনিময়ে কাড়ি সবার মন।
আমরা রঙিন স্বপ্ন দেখি; নতুন কিছু চাই
এই সমাজে সম্প্রীতি-সুখ বজায় থাকুক, তাইÑ
জনগণের প্রতিনিধিÑ এমন মানুষ হোক
সেবার বেলায় দেখবে না কোন ধর্ম-জাতের লোক।
যা হবার তা হয়েই গেছে, কেটে গেছে ঘোর
জানা হলো, আঁধার মুছে ঠিক-ই আসে ভোর
নতুন করে সবাই মিলে গড়লে সোনার দেশ
তবেই না হয় স্বাধীন দেশে থাকা যাবে বেশ।
.
মামুন সারওয়ারের দুটি ছড়া
সোনার ছেলে -
আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ফাইয়াজ
প্রাণ দিয়েছে যারা।
সোনার ছেলে তারা।
তাদের জন্য সকল মানুষ
এখন পাগলপারা।
.
সবার মুখ-
ফুঁক মন্তর ফুঁক-ফুঁক
বাংলাদেশে আসলো সুখ
সূর্য বেশে
উঠলো শেষে
গরীব-দুখী সবার মুখ।