ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ইলিশকে টেক্কা দিতে পারে ‘তোতা মাছ’?

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৩৬, ১৪ জুন ২০২৫

ইলিশকে টেক্কা দিতে পারে ‘তোতা মাছ’?

ছবি: সংগৃহীত

পুষ্টিগুণের দিক থেকে পরিচিত ইলিশ, রুই কিংবা পাবদাকেও টক্কর দিতে পারে এমন কিছু কম পরিচিত কিন্তু ঔষধিগুণে ভরপুর মাছ রয়েছে। এমনই এক মাছের খোঁজ মিলেছে যেটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী হলেও অনেকেরই অজানা।

মাছ নিয়ে বাঙালির রয়েছে এক আলাদা আবেগ। তাই দেশে হোক বা বিদেশে, বাজারে মাছের খোঁজে ঘোরাফেরা করাই যেন একটা অভ্যাস। কিন্তু কোন মাছ স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা অনেকেরই নেই। অনেকেই মনে করেন, শুধুমাত্র রুই, কাতলা বা ইলিশের মধ্যেই রয়েছে পুষ্টির ভাণ্ডার।

কিন্তু বাস্তবে কিছু অল্প পরিচিত মাছ রয়েছে, যেগুলো পুষ্টিগুণের বিচারে পরিচিত মাছগুলোকেও পেছনে ফেলে দিতে পারে। আজ তেমনই এক সুস্বাদু অথচ মূল্যসাশ্রয়ী মাছ সম্পর্কে জানানো হচ্ছে। যার নাম প্যারট মাছ। বাংলায় যাকে ‘তোতা মাছ’ বলা হয়, এটি ল্যাব্রিডে (Labridae) পরিবারের সদস্য। এর মুখের গঠন তোতাপাখির ঠোঁটের মতো হওয়ায় একে এ নামেই ডাকা হয়।

বিশ্বজুড়ে প্যারট মাছের প্রায় ৯৫টিরও বেশি প্রজাতি রয়েছে, যার মধ্যে ২০টি প্রজাতি ভারত মহাসাগরের উপকূলবর্তী অঞ্চলে বিশেষভাবে দেখা যায়। এই মাছ মূলত প্রবাল প্রাচীরে বাস করে এবং শৈবাল খায়। প্রবাল প্রাচীর পরিষ্কার রাখতে এই মাছের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

জেলেরা একে প্যারটফিশ বলে চেনেন এর উজ্জ্বল সবুজ-লাল রঙের জন্য। বৈজ্ঞানিক নাম Scarus coeruleus। দক্ষিণ ভারতে একে "পেরুন্ধিরাল" নামে ডাকা হয়।

এই মাছের আকৃতি প্রায় ৪ ফুট পর্যন্ত লম্বা এবং ওজন ৪৫ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য এর দাঁতের সংখ্যা প্রায় ১০০০টি শক্তিশালী দাঁত, যা দিয়ে এটি প্রবাল ও শৈবাল খাওয়ার পাশাপাশি পাথরে গর্ত করতেও সক্ষম।

আশ্চর্যজনকভাবে, এই মাছ নিজের রঙ পরিবর্তন করতে পারে পরিবেশ ও ঋতুভেদে। এমনকি স্ত্রী মাছ পুরুষে রূপান্তরিত হওয়ার ঘটনাও ঘটে।

শহীদ

×