
ছবি: প্রতীকী (সংগৃহীত)
ভিডিওর শুরুতেই অশ্রাব্য শব্দ? আগে এমন হলে ইউটিউবের বিজ্ঞাপন আয় চলে যেত। কিন্তু এখন সেই নীতিতে বড় পরিবর্তন আনল ইউটিউব। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ভিডিওর প্রথম সাত সেকেন্ডে অশালীন ভাষা বা গালাগাল থাকলেও কনটেন্ট নির্মাতারা পুরো বিজ্ঞাপনী আয় পেতে পারেন—যদি ভিডিওর শিরোনামে বা থাম্বনেইলে কোনো অশ্রাব্য শব্দ না থাকে।
সম্প্রতি ইউটিউবের ‘Creator Insider’ চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিওবার্তায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রতিষ্ঠানটির মনেটাইজেশন পলিসি এক্সপেরিয়েন্স প্রধান। ভিডিওতে বলা হয়, এই নতুন নীতি মূলত সম্প্রচারমাধ্যমের (ব্রডকাস্ট) মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে বিজ্ঞাপনদাতারা চায়, কনটেন্টে গালাগালের সঙ্গে বিজ্ঞাপনের একটা ‘দূরত্ব’ বজায় থাকুক।
তবে ইউটিউব স্পষ্ট করে জানিয়েছে, এই পরিবর্তন গালাগালকে উৎসাহিত করার জন্য নয়। বরং এতে বিজ্ঞাপনদাতারা আরও ভালোভাবে নির্দিষ্ট ধরনের কনটেন্টের সঙ্গে তাদের বিজ্ঞাপন সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে দিতে পারবেন। তবে ভিডিওর শিরোনাম বা থাম্বনেইলে যদি অশ্রাব্য শব্দ থাকে, তাহলে সেটি পূর্ণ মনেটাইজেশনের আওতায় আসবে না।
শিশু-কিশোরদের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক বয়স যাচাইকরণ
নতুন মনেটাইজেশন নীতির পাশাপাশি ইউটিউব যুক্তরাষ্ট্রে শিশু ও কিশোরদের জন্য চালু করেছে উন্নত বয়স যাচাইকরণ পদ্ধতি। এই ব্যবস্থায় ব্যবহারকারীর ভিডিওর পছন্দ, সার্চ ইতিহাস ও অ্যাকাউন্ট কতদিনের পুরোনো—এসব বিশ্লেষণ করে একটি মেশিন লার্নিং মডেল ব্যবহারকারীর বয়স নির্ধারণ করে।
এই প্রযুক্তি নিশ্চিত হলে যে কেউ ১৮ বছরের নিচে, তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যাবে ইউটিউবের বয়সভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। এতে নিষ্ক্রিয় হবে ব্যক্তিগতকৃত বিজ্ঞাপন এবং চালু হবে ডিজিটাল ওয়েলবিয়িং টুলস, যা অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক।
এই পরিবর্তনগুলো ইউটিউবকে আরও নমনীয় ও আধুনিক প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি এটি নির্মাতাদের স্বাধীনতা ও বিজ্ঞাপনদাতাদের স্বাচ্ছন্দ্যের মাঝে একটি ভারসাম্যও গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
রাকিব