ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০১ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

বাঞ্ছারামপুরে গৃহবধূ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, মূল আসামি গ্রেপ্তার

কাজী খলিলুর রহমান, বাঞ্ছারামপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

প্রকাশিত: ২১:৫১, ৩১ জুলাই ২০২৫

বাঞ্ছারামপুরে গৃহবধূ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, মূল আসামি গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে রহস্যজনকভাবে খুন হওয়া গৃহবধূ শাহিনুর আক্তার (২৫) হত্যা মামলার মূল আসামি মো. সুজন মিয়াকে (৩৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ১৮ই জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাঞ্ছারামপুর পৌর এলাকার থানা কলোনি সংলগ্ন একটি বাসা থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তালাবদ্ধ একটি কক্ষ খুলে শাহিনুরের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতের পিতা মো. গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি রহস্যজনক ও চাঞ্চল্যকর হওয়ায় পিবিআই তদন্তে নামে। পুলিশ সুপার (পিবিআই) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্দেশে ছায়া তদন্ত শুরু করেন পিবিআই কর্মকর্তারা। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মামলার মূল অভিযুক্ত হিসেবে শনাক্ত হন বাঞ্ছারামপুরের দড়ি এলাকার বাসিন্দা মো. সুজন মিয়া।

তদন্ত থেকে জানা যায়, ‘৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের জন্য গত ১৭ই জুলাই রাতে সুজনসহ আরও ৩ জন শাহিনুরের বাসায় যান। টাকা না দেওয়ায় শাহিনুরকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে এবং ঘরের দরজায় তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর আত্মগোপনে চলে যান সুজন। প্রথমে প্রেমিকা তানিয়াকে নিয়ে নরসিংদীর একটি পার্কে অবস্থান করেন তিনি। পরে নারায়ণগঞ্জ ও ভুলতা এলাকায় কয়েকদিন ঘোরাঘুরি করে অবশেষে ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে ছোট শ্যালকের বাসায় আশ্রয় নেন। সেখান থেকেই পিবিআই টিম তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডে থাকা অবস্থায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ঘটনার দায় স্বীকার করেন সুজন। ৩০শে জুলাই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও প্রদান করেন তিনি।

‘এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও মূল আসামি গ্রেপ্তার হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে স্থানীয়দের মধ্যে। মামলাটির তদন্ত এখনো চলমান রয়েছে। তদন্তের নেতৃত্বে ছিলেন এসআই (নিঃ) মো. শাহাদাত হোসেন এবং তদারককারী কর্মকর্তা পুলিশ সুপার শচীন চাকমা (পিবিআই, ব্রাহ্মণবাড়িয়া)।’

রাজু

×