ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

নাসার চাঞ্চল্যকর আবিষ্কার: আর্কটিক বরফের নিচে লুকানো পারমাণবিক সুবিধা

প্রকাশিত: ০১:২৮, ৩১ জুলাই ২০২৫

নাসার চাঞ্চল্যকর আবিষ্কার: আর্কটিক বরফের নিচে লুকানো পারমাণবিক সুবিধা

ছবি: সংগৃহীত

নাসার একটি গবেষণা মিশনে সম্প্রতি আর্কটিকের বরফের নিচে একটি রহস্যময় পরিত্যক্ত পারমাণবিক সুবিধা আবিষ্কৃত হয়েছে, যা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক প্রশ্ন ও উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। উত্তর মেরুর কাছে আর্কটিক সার্কেলের গভীরে বরফের নিচে স্যাটেলাইট ইমেজ ও আন্ডার-আইস রোবট ব্যবহার করে একটি সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক, রিয়্যাক্টর-সদৃশ কাঠামো এবং সোভিয়েত-যুগের সরঞ্জাম শনাক্ত করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এটি ১৯৬০-১৯৮০ সালের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি সোভিয়েত ইউনিয়নের গোপন পরমাণু পরীক্ষা বা সামরিক ডিপো হতে পারে, যদিও কিছু তত্ত্ব এটি মার্কিন বা ন্যাটোর ABM প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অংশ হিসেবেও ইঙ্গিত দেয়। এই সুবিধার অস্তিত্ব ১৯৬১ সালের আন্তর্জাতিক অ্যান্টার্কটিক চুক্তি লঙ্ঘনের ইঙ্গিত দিতে পারে, যা আর্কটিকে সামরিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আর্কটিকের বরফ গলে যাওয়ায় এবং নাসার ICESat-2 স্যাটেলাইটের উন্নত শনাক্তকরণ ক্ষমতার কারণেই এই আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে।

এই চাঞ্চল্যকর আবিষ্কারের পর রাশিয়া কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জরুরি নিরাপত্তা ব্রিফিংয়ের আহ্বান জানিয়েছে এবং গ্রিনপিস বিকিরণ দূষণের পরিবেশগত ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। নাসা ও জাতিসংঘ একটি যৌথ তদন্ত দল গঠন করেছে এবং রোবটিক প্রোব পাঠিয়ে সুবিধাটির ভেতর থেকে নমুনা সংগ্রহ করার পরিকল্পনা করেছে।

নাসার আর্কটিক রিসার্চ টিমের ড. এলিজাবেথ হাওয়েস বলেছেন, এই আবিষ্কার শীতল যুদ্ধের অন্ধকার ইতিহাসের একটি নতুন অধ্যায় উন্মোচন করতে পারে এবং এর থেকে বিকিরণ ছড়ালে তা আর্কটিকের বাস্তুতন্ত্রের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে, যার জন্য বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

×