
ছবিঃ সংগৃহীত
শিশুকালের মানসিক আঘাত অনেক সময় আমাদের আত্মমর্যাদার ভিতকে নষ্ট করে দেয়—যা বুঝতে অনেক সময় লাগে। এই ট্রমার প্রভাব আমাদের আত্মবিশ্বাস, সম্পর্ক, এবং জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নীরবে ছড়িয়ে পড়ে। শিশুকালের ট্রমা আত্মমূল্যবোধে আঘাত হানে এবং কীভাবে ধীরে ধীরে এই ক্ষতি থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে আবার ভালোবাসা সম্ভব।
শিশুকালের মানসিক আঘাতে আত্ম-সন্দেহ জন্ম নেয়। শিশু অবস্থায় নেতিবাচক পরিবেশে বড় হলে আত্মপরিচয় গঠনে বাধা আসে। মনে হতে থাকে, আমি ভালো না, আমি যোগ্য না।
এর ফলে কেউ একজন একাকিত্বে ঝুঁকে যায়। আঘাত পাওয়ার ভয়ে মানুষ নিজেকে গুটিয়ে নেয়। এতে আত্মবিশ্বাস আরও কমে যায়। এটি স্বাভাবিক আত্মসম্মান গঠনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। শিশু বয়সে ট্রমা আমাদের স্বাভাবিক মানসিক বিকাশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
এছাড়াও নেতিবাচক আত্ম-আলাপের ফাঁদ তৈরি করে। নিজেকে নিয়ে খারাপ ভাবনা—"আমি পারি না", "আমি ব্যর্থ"—চলে আসে মাথায়, বারবার। অপরাধবোধ ও লজ্জাকাজ করে। অনেক সময় শিশুকালের ঘটনার জন্য নিজেকেই দোষারোপ করি—যা মোটেও ঠিক নয়।
ট্রমার কারণে নতুন কিছু চেষ্টা করতেও ভয় লাগে—"ভুল করলেই আমি অযোগ্য প্রমাণিত হবো।" মাদক, আত্ম-নাশক চিন্তা ইত্যাদি আসে যখন কেউ ব্যথা ভুলতে চায়। এছাড়া ট্রাস্ট ইস্যু, ভালোবাসার অযোগ্য মনে হওয়া—এসব সম্পর্ক গঠনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
এসব থেকে বের হতে পেশাদার থেরাপি নিন। নিজেকে ক্ষমা করতে শিখুন, আত্মমর্যাদা গঠনের জন্য ইতিবাচক কথা বলুন ও ধীরে ধীরে সময় নিয়ে সম্পর্ক তৈরি করুন। আপনার অতীত আপনার মর্যাদার পরিচয় নয়। আপনি ভালোবাসার যোগ্য, সম্মানের যোগ্য। সময় নিয়ে হলেও—চিকিৎসা ও সহানুভূতির মাধ্যমে ভালো থাকা সম্ভব।
সূত্রঃ ডেইলি মোটিভেশন নিউজ
আরশি