
ছবি: প্রতীকী
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দুই বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ করেই যুদ্ধের গতিপথে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার ছাড়াই রাশিয়া ইতোমধ্যে ইউক্রেনের প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করেছে, যা বাংলাদেশের মোট আয়তনের কাছাকাছি। এমন প্রেক্ষাপটে অনেকেই আশঙ্কা করছেন, বিশ্বের সামনে আবারও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ছায়া ঘনিয়ে আসছে।
এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে অবশেষে পারমাণবিক অস্ত্র প্রসঙ্গে মুখ খুললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনের জন্য রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। যুদ্ধ শেষ করতে আমাদের হাতে যথেষ্ট শক্তি রয়েছে। এখন দরকার কেবল সময় আর কিছুটা ধৈর্য।’
পুতিন আরও জানান, রাশিয়াকে ভুল সিদ্ধান্ত নিতে উসকে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এখনো পর্যন্ত তারা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন অনুভব করেনি। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ভবিষ্যতেও যেন এমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
রুশ প্রেসিডেন্ট যখন আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে যুদ্ধের অগ্রগতির কথা বলছেন, তখন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ যুদ্ধে রক্তগঙ্গার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। তিনি বলেন, এই লড়াই কেবল ইউক্রেনের নয়, এটি একটি প্রক্সি যুদ্ধ। এখানে মুখোমুখি হয়েছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।
ট্রাম্প আরও সতর্ক করে বলেন, এই সংঘাত যদি নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তাহলে তা রূপ নিতে পারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে।
সম্প্রতি রুশ রাষ্ট্রায়ত্ত মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে একটি তথ্যচিত্র, ‘রাশিয়া, ক্রেমলিন, পুতিন - ২৫ বছর’, যেখানে তুলে ধরা হয়েছে পুতিনের দীর্ঘ রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বার্লিন প্রাচীর ভাঙার পর থেকে পশ্চিমা বিশ্ব ধাপে ধাপে রাশিয়াকে ঘিরে রেখেছে অপমান ও সংকোচনের মধ্য দিয়ে। ন্যাটোর বিস্তার এবং রুশ প্রভাব বলয়ে হস্তক্ষেপ—এসবই রাশিয়ার বর্তমান অবস্থানের পেছনে একটি দীর্ঘ পরিকল্পনার অংশ বলে উল্লেখ করেছেন পুতিন।
এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার ইউক্রেনে অগ্রযাত্রা এবং পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার না করার বার্তা যুদ্ধের পরবর্তী ধাপে কোন দিকে মোড় নেয়, সে দিকে নজর রাখছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=g0W5oqXaqIE
রাকিব