
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের থাড ও প্যাট্রিয়ট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম এমন একটি নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করেছে ইরান। ‘কাসেম বাসির’ নামের এ ক্ষেপণাস্ত্রটি ইরানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদে রোববার দেশটির সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে প্রকাশ করেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, এটি কঠিন জ্বালানিচালিত ক্ষেপণাস্ত্র, যা দ্রুত মোতায়েনযোগ্য এবং ইলেকট্রনিক জ্যামিং প্রতিরোধে সক্ষম। কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরি এ ক্ষেপণাস্ত্র রাডার সিগন্যাল এড়াতে পারদর্শী। এর পাল্লা ১ হাজার ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি।
নাসিরজাদে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘আমাদের ওপর যদি যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়, তবে আমরা কঠোর জবাব দেব।’ তিনি আরও জানান, ইরান কারও সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চায় না, তবে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলো ইরানের প্রতিরক্ষার লক্ষ্যে পরিণত হতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ইরানের এই নতুন অস্ত্র প্রদর্শন কৌশলগত বার্তা বহন করে। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও চাপের মুখেও ইরান আত্মনির্ভরতার পথে হেঁটে নিজস্ব সামরিক প্রযুক্তি উন্নয়নে মনোযোগী হয়েছে।
হিজবুল্লাহ ও হুতিদের মতো আঞ্চলিক মিত্রদের সমর্থন দেওয়ায় ইরান প্রায়শই মধ্যপ্রাচ্যের পরোক্ষ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।
বিশ্ব সামরিক শক্তি সূচকে ইরান বর্তমানে ১৪তম অবস্থানে রয়েছে। দেশটির সক্রিয় সেনা সদস্য সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ১০ হাজার। বিমানবাহিনীতে রয়েছে ৫৫১টি যুদ্ধবিমান, স্থলবাহিনীতে রয়েছে ১ হাজার ৯৯৬টি ট্যাংক ও ৬৫ হাজারের বেশি সাঁজোয়া যান। নৌবাহিনীতে রয়েছে ৩৭টি যুদ্ধজাহাজ, যার মধ্যে ৭টি সাবমেরিন।
আসিফ