
ছবি: সংগৃহীত
স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক সংস্কার সুপারিশ করে প্রধান উপদেষ্টার কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খানের নেতৃত্বাধীন স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন। প্রতিবেদনে ডাক্তারদের অনৈতিক সুবিধা বা উপহার দেওয়ার মাধ্যমে ওষুধ কোম্পানির প্রভাব বিস্তার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
কমিশনের মতে, ওষুধ কোম্পানিগুলো আর সরাসরি চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবে না কিংবা কোনোরকম উপহার বা বিনামূল্যে নমুনা দিতে পারবে না। শুধুমাত্র ইমেইল বা ডাকযোগের মাধ্যমে তথ্য পাঠানোই অনুমোদিত হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান চিকিৎসা ব্যবস্থায় রোগীরা দালালচক্র, ভুল চিকিৎসা এবং অতিরিক্ত খরচের ফাঁদে পড়ে যাচ্ছে। সরকারি হাসপাতালে অব্যবস্থাপনা আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে লাগামহীন খরচের বোঝা রোগীদের দিশেহারা করে তুলছে। এমন বাস্তবতায় স্বাস্থ্যসেবার বিকেন্দ্রীকরণের ওপর জোর দিয়েছে কমিশন।
সকল বিভাগে বিশেষায়িত হাসপাতাল গড়ে তোলা, হাসপাতালগুলোকে একাডেমিক ও সার্ভিস হসপিটাল হিসেবে আলাদা করা, দক্ষ জনবল তৈরি এবং রেফারেল পদ্ধতি চালুর সুপারিশ করা হয়েছে।
বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারগুলোর চিকিৎসা খরচ নির্ধারণ ও মান নিয়ন্ত্রণে আলাদা তদারকি ব্যবস্থার পরামর্শও এসেছে।
সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বিনামূল্যে নিশ্চিত করা এবং ‘বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস’ গঠন করার প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। এই নতুন কাঠামোর অধীনে সব স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
মানহীন হাসপাতাল ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশসহ, নারী স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট স্থাপন ও জরুরি ওষুধের তালিকা সম্প্রসারণের কথাও বলা হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, এই সুপারিশ বাস্তবায়নে অন্তত দুই বছর সময় প্রয়োজন হবে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=Nva-HHYjOm4
রাকিব