ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

সন্তানের ভবিষ্যৎ

শিউলী আহমেদ

প্রকাশিত: ২০:৩২, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩

সন্তানের ভবিষ্যৎ

.

শৈশবকাল রঙিন করে তুলতে মা-বাবার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। শৈশবের স্মৃতিটুকু পরোক্ষভাবে হলেও তার সমস্ত জীবনকে প্রভাবিত করে। আবেগ, সামাজিকতা এবং বুদ্ধিদীপ্ত মনোভাব- এই তিন ক্ষেত্রে শিশুর দক্ষতা বাড়াতে পারলে মা-বাবা নিশ্চিত হতে পারবেন, তাদের শিশুটি সঠিকভাবে বেড়ে উঠছে। তাই মা-বাবা পারেন সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে। তার কিছু পরামর্শ দেয়া হলো-

সন্তানকে সময় দিন, কথা বলুন: জন্মের পর থেকে তিন বছর বয়স পর্যন্ত শিশু যেসব শব্দ ব্যবহার করে, তার প্রায় ৮৮-৯৮ শতাংশ শব্দ মা-বাবার কাছ থেকে শুনে শেখা। শিশুর সঙ্গে যত বেশি কথা বলা হবে, ওর শব্দভাণ্ডার কাজের পরিধি তত বাড়বে।

সন্তানের সঙ্গে পড়াশোনা নিয়ে সময় কাটান: গবেষণায় দেখা যায়, মা-বাবা তাদের শিশু সন্তানের সঙ্গে পড়াশোনা নিয়ে প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট কাটালে সেই শিশুরা বিদ্যালয়ের পড়াশোনায় অন্যান্য শিশুদের তুলনায় এগিয়ে থাকে। অল্প বয়স থেকেই শিশুকে বাসায় পড়াতে পারলে বিদ্যালয়ের সে খুব দ্রুত পড়া আত্মস্থ করতে পারবে।

দৌড়-ঝাঁপের খেলাধুলার সুযোগ দিন: খেলাধুলা মানেই সময়ের অপচয় নয়। বড় মাঠে কিংবা খোলা জায়গায় সমবয়সীদের সঙ্গে নিয়মিত খেলাধুলায় শিশুর বিভিন্ন ধরনের বিকাশ ঘটে, যা পরে তাকে অনেক কাজ সহজে সম্পন্ন করতে সাহায্য করে।

টিভি দেখার সময় নিয়ন্ত্রণে রাখুন: যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণায় দেখা যায়, অতিরিক্ত টিভি দেখার কারণে শিশুর মস্তিষ্কের যে অংশটি দৃষ্টিশক্তি নিয়ন্ত্রণ করে, সেখানে চাপের সৃষ্টি হয় এবং তারা সৃজনশীল কল্পনা থেকে দূরে সরে যায়।

শিশুকে আদুরে স্পর্শ দিন: স্পর্শ, হাসি, গান শোনানো, গল্প বলা ইত্যাদি অনুভূতি বিনিময় বা ছোট ছোট আচরণ একটি শিশুর জন্য খুব উপকারী। মস্তিষ্কের উন্নতি এবং জীবনে চলার জন্য মজবুত ভিত্তি তৈরি করতে আপনার আদর তাকে অনেকখানি এগিয়ে দিতে পারে।

×