
ছবি: সংগৃহীত
হোয়াইট হাউজ থেকে এক সময় যাদের বন্ধুত্ব ছিল দৃঢ়, এখন তাদের সম্পর্কের মাঝে ঠাণ্ডা বাতাস। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে এবার প্রকাশ্যে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, "পুতিন খুব সুন্দরভাবে কথা বলেন, আর তারপর সন্ধ্যায় সবাইকে বোমা মারেন।"
মাত্র এক মাস আগেই যাকে "ভদ্র ব্যক্তি" বলে প্রশংসা করেছিলেন, এখন তাকে উদ্দেশ করে ট্রাম্প বলেন, "পুতিন আমাদের উপর অনেক বুলশিট ছুড়ছেন। সব সময় ভালো ব্যবহার করেন, কিন্তু তার কোনো অর্থ হয় না।"
রবিবার (১৩ জুলাই) নিউ জার্সির ক্লাব বিশ্বকাপ ম্যাচ শেষে ওয়াশিংটনে ফিরে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠাবে। যদিও সংখ্যাটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ট্রাম্প বলেন, "তাদের নিরাপত্তার জন্য এগুলো দরকার। আমরা কিছু পাঠাব, তবে সংখ্যা পরে জানাব।"
ট্রাম্প প্রশাসন এর আগে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহে বিরতি দেওয়ার ঘোষণা দিলেও, এখন সেই অবস্থান থেকে সরে এসে ট্রাম্প জানাচ্ছেন, এবার ইউক্রেনকে sophisticated অস্ত্র দেওয়া হবে, এবং এই অস্ত্রগুলোর জন্য ইউক্রেন ও ন্যাটো পুরো মূল্য পরিশোধ করবে।
ট্রাম্প বলেন, আমরা অত্যাধুনিক সামরিক উপকরণ পাঠাব, এবং তারা এর জন্য শতভাগ মূল্য দেবে… এটা আমাদের জন্য ব্যবসা।
২০২৪ সালে নির্বাচনের আগে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দেবেন। কিন্তু সাত মাস পার হয়ে গেলেও যুদ্ধ অব্যাহত, বরং রাশিয়ার আক্রমণ আরও বেড়েছে।
এপ্রিল মাসেও ট্রাম্প ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে যুদ্ধ শুরু করার জন্য দায়ী করেছিলেন। বলেছিলেন, “আপনি কি এমন একজনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করেন, যার শক্তি আপনার চেয়ে ২০ গুণ বেশি?” কিন্তু কয়েক মাসের ব্যবধানে তিনি নিজের অবস্থান থেকে পিছিয়ে এসে আবার কিয়েভকে সমর্থন করতে শুরু করেছেন।
রবিবার ট্রাম্প জানান, সোমবার তিনি ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। একই সময়ে, ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূতও নতুন কূটনৈতিক মিশনে যাচ্ছেন।
রাশিয়ার আগ্রাসনের তিন বছরের বেশি সময় পার হলেও, মার্কিন নেতৃত্বাধীন আলোচনায় কোনো দৃশ্যমান সমাধান আসেনি। ট্রাম্পের মন্তব্যে স্পষ্ট, তিনি এবার আর রাশিয়ার “বন্ধু” হয়ে থাকতে চান না।
মুমু ২