১০ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে স্বামী হোসেন আহমদ চৌধুরী আক্তারকে পুলিশ আটক করেছে। সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে কানাইঘাট উপজেলার সাতবাঁক ইউনিয়নের চরিপাড়া গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় তাঁকে আটক করে পুলিশ।
জানা গেছে, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী সাবানা বেগমের সঙ্গে আক্তারের কলহ চলছিল। সাবানার বাবার বাড়ি কানাইঘাটের লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের কান্দলা গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাত ৮টার দিকে অসুস্থ স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে নিতে যান আক্তার। শ্বাশুড়ি বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান এবং কিছুক্ষণ পর বাজার থেকে টাইগার ড্রিংকের একটি বোতলে করে পেট্রোল এনে ঘুমন্ত স্ত্রীর গায়ে ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যান।
মেয়ের আর্তচিৎকারে পরিবারের সদস্য ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নেভান। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাবানা বেগমকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং সেখান থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে সাবানা বেগম একটি মৃত কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল জানান, স্ত্রীর গায়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগে হোসেন আহমদ চৌধুরী আক্তারকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফখর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “শনিবার রাতেই আমি হাসপাতালে গিয়ে সাবানার অবস্থা দেখি। পরে পুলিশকে জানানো হলে মৃত নবজাতককে দাফন করা হয়।”
স্থানীয়দের কেউ কেউ জানান, আক্তার দীর্ঘদিন ধরেই মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন এবং একসময় কুয়েতে ছিলেন। তবে এমন নিষ্ঠুর ঘটনার কোনো কারণ তাঁরা খুঁজে পাচ্ছেন না।
সাবানার বাবা আব্দুল জব্বার বলেন, “মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলাম ভেবেছিলাম ভালো থাকবে। এখন সে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। আমি বিচার চাই।”
সানজানা
