ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

ছেলের গায়ে অপহরণকারীদের নির্যাতনের চিহ্ন দেখেই বাবার মৃত্যু 

নিজস্ব সংবাদদাতা,দাউদকান্দি

প্রকাশিত: ১৬:৪৪, ১৪ জুলাই ২০২৫

ছেলের গায়ে অপহরণকারীদের নির্যাতনের চিহ্ন দেখেই বাবার মৃত্যু 

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ছেলের অপহরণের পর নির্যাতনের চিহ্ন দেখে হার্ট অ্যাটাকে পাবেলের বাবার মৃত্যু হয়েছে৷ রবিবার(১৩ জুলাই) রাত সাড়ে নয়টায় কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুরে হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে। নিহত সুরুজ মিয়া(৭০) উপজেলার মারুকা ইউনিয়নের চক্রতলা গ্রামের তাজু মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত সুরুজ মিয়ার ছেলে পাবেল(২৫) রবিবার দুপুরে গৌরীপুর বাজারের ঈদগাঁ মাঠে কবুতর কিনতে যায়। বাজার থেকে কয়েকজন তাকে অপহরণ করে পশ্চিম বাজার একটি বাসায় নিয়ে যায়। এরপর মুক্তি বাবদ পরিবারে নিকট পঞ্চাশ হাজার  টাকা দাবী করা হয়।  টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পাবেলের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। পরে বাধ্য হয়ে অপহরণকারীদের দাবীকৃত টাকা বিকাশে পরিশোধ করার পর  রাত সাড়ে আটটায় মুক্তি পায় পাবেল। পাবেলের গায়ে অপহরণকারীদের নির্যাতনের চিহ্ন দেখেই ঢলে পড়েন বাবা সুরুজ মিয়া। তাৎক্ষণিক তাকে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গৌরীপুরে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

 

 

পাবেলের ফুফাতো ভাই কাইয়ুম হাসান মুঠোফোনে বলেন, পাবেল কবুতর কিনতে গৌরীপুর বাজারে যায়। প্রথমে দুইজন এসে পাবেলকে বলে এই তুই টাকা নিছস, টাকা দেছনা কেন বলেই চর থাপ্পড় মারা শুরু করে। পরে আরো ৫/৬ জন এসে  আপনাদের কি হইছে  সাইটে আসেন বলেই ডেকে নিয়ে চোখ বেধে ফেলে। পরে একটি বাসায় নিয়ে আঁটকে রেখে পাবেলে উপর নির্যাতন চালায়। মুক্তির পর পাবেলের গায়ে নির্যাতনের চিহ্ন দেখে আমার মামা অর্থাৎ পাবেলের বাবা স্ট্রোক করে। হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার বলে মারা গেছে।

 

 

 

পাবেলের ভাই বা মায়ের সাথে কথা বলতে চাইলে, তিনি বলেন, পাবেলের বাবাকে  মাত্র দাফন করা হয়েছে।  কথা বলার মতো কারো মানুষিকতা নেই, সবাই কান্নাকাটি করছেন।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি জুনায়েত চৌধুরী বলেন, বিষয়টি কেউ জানায়নি,  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে খোঁজ খবর নেয়ার জন্য ভিকটিমের বাড়ীতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।  
 

ছামিয়া

×