
ছবি: সংগৃহীত।
দালাইলামার উত্তরসূরি নির্বাচন নিয়ে ভারত থেকে আসা মন্তব্যের জবাবে চীন কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তিব্বতের নির্বাসিত ধর্মগুরু সম্প্রতি ভারতের ধর্মমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে বলেন, “পরবর্তী দালাইলামা কে হবেন, তা নির্ধারণ করবেন শুধু তিব্বতী বৌদ্ধরাই—চীনের এতে কোনো ভূমিকা নেই।”
এ বক্তব্যের জবাবে চীনা দূতাবাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানায়, তিব্বত বিষয়ে সিদ্ধান্ত চীনের একান্ত অভ্যন্তরীণ বিষয়, এতে অন্য কোনো দেশের কিছু বলার অধিকার নেই।
চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র ইউ ঝিং বলেন, “ভারতের কিছু গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং কৌশলগত মহল থেকে দালাইলামার পুনর্জন্ম নিয়ে যে মন্তব্য আসছে, তা সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত।” তিনি ভারতের পররাষ্ট্র নীতিনির্ধারকদের আরও ‘সংবেদনশীল’ হওয়ার আহ্বান জানান এবং সতর্ক করেন যে, চীন এ বিষয়ে কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ সহ্য করবে না।
বর্তমানে প্রায় ৭০ হাজার তিব্বতী শরণার্থী ভারতের ধর্মশালায় বসবাস করছেন, যেখানে তিব্বতের নির্বাসিত সরকার পরিচালিত হয়। অনেক বিশ্লেষকের মতে, দালাইলামার উপস্থিতি ভারতকে চীনের বিরুদ্ধে একটি কৌশলগত সুবিধা দেয়। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ধর্ম বা বিশ্বাস সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো অবস্থান নেয় না।
এই টানাপোড়েনের মধ্যেই আসছে ১৫ জুলাই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর যাচ্ছেন চীন সফরে। তিনি টিয়ানজিন শহরে অনুষ্ঠিতব্য সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) আঞ্চলিক নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নেবেন। সম্মেলনের ফাঁকে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেরও কথা রয়েছে।
২০২০ সালে গালওয়ান সীমান্ত সংঘর্ষের পর এটাই হতে যাচ্ছে দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক সফর।
নুসরাত