
ছবি: সংগৃহীত
ঘুম ভেঙে চোখ মেলতেই রক্তের ছিটে এসে পড়ল মুখে। এমন ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছে মাত্র ১২ বছর বয়সী শৈলেন্দ্র। বিহারের পুরনিয়া জেলায় এক নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী হল সে। নিজের মায়ের হাতে বাবার মৃত্যু দেখল শিশুটি।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত উষা দেবী (৩৫) তার স্বামী বালো দাস (৪৫)-কে ধারালো অস্ত্র ‘দাবিয়া’ দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করে হত্যা করেন। এই ঘটনায় তার ১২ বছরের ছেলে শৈলেন্দ্র সরাসরি সাক্ষী থাকলেও মা তাকে হুমকি দেন, “কাউকে কিছু বললে তোকে ওরকমই মারব।”
স্বামী পাঞ্জাবে দিনমজুরের কাজ করতেন। সেই ফাঁকে গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন উষা দেবী। প্রেমিকের প্ররোচনায় বাড়ির জমি বিক্রি করে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি। কিন্তু স্বামী হঠাৎ ফিরে আসায় সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
শৈলেন্দ্র জানায়, “রাত প্রায় সাড়ে দশটা। ঘুম ভেঙে দেখি, মা বাবার গলায় বারবার কোপাচ্ছে। মুখে রক্ত ছিটে পড়ে। চিৎকার করতে গেলেই মা হুমকি দেয়।” ভয়ে শিশুটি রাতভর চুপচাপ থাকে। সকালে ফুপুর কাছে গিয়ে সব খুলে বলে। গ্রামবাসীরা জড়ো হয়ে পুলিশকে খবর দেয়। অভিযুক্ত উষা দেবী পরে নিজের দোষ স্বীকার করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, উষা দেবী তার স্বামীকে প্রেমিকের প্ররোচনায় খুন করেছেন। এই ঘটনার তদন্ত চলছে।
মুমু ২