ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ১জন

নাছরুল্লাহ আল কাফী, পিরোজপুর

প্রকাশিত: ১৬:৪৯, ১৪ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৬:৫৩, ১৪ জুলাই ২০২৫

বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ১জন

ছবি: জনকণ্ঠ

পিরোজপুরের নেছারাবাদে মৈশানি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ছয়জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে মাত্র একজন শিক্ষার্থী। ওই ছয় শিক্ষার্থীর চারজনই বিবাহিত বলে একজনের বেশি পাশ করতে পারেনি দাবি শিক্ষকদের। এমনকি বিদ্যালয়টিতে প্রকৃত খাতাকলমে বিশ জন শিক্ষার্থীদের বিপরীতে শিক্ষকের সংখ্যা রয়েছে এগারজন। বিদ্যালয়ের এমন পরিস্থিতিতে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিনে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। 

জানাগেছে, চলতি বছরে ওই বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় মোট ছয়জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ভুক্ত ও ১১ জন শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও তাদের অবহেলায় থমকে গেছে পড়ালেখার মান। বিদ্যালয়ে আট বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অনিয়মিত আগমন, সহকারি শিক্ষক ও ষ্টাফদের যখন খুশি তখন আসা যাওয়াসহ রাজনৈতিক দলাদলিতে মুখ থুবড়ে পড়ে লেখা পড়ার মান। অভিযোগ রয়েছে, উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতি শিক্ষা কর্মকর্তাদের কোনো তদারকি না থাকায় বেহাল দশায় ওই স্কুলটি। যে কারনে এবছর ওই বিদ্যালয় থেকে ছয়জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে একজনে পাশের মুখ দেখেছেন৷ 

 

 

বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক তপন মন্ডল বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে একসময় ভাল রেজাল্ট করত। এখন শিক্ষার্থীরা ঠিকমত বিদ্যালয়ে আসেনা। এবছর ছয়জনে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। সেই ছয়জনের মধ্যে তিনজনের বিয়ে হয়েছে। একজনের বিয়ের কথা চলছে। তাদের অনুরোধ করে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে পরীক্ষায় বসিয়েছিলাম। বাসায় পড়াশুনা না করায় ফেল করেছে।

বিদ্যালয়ের অপর এক সহকারি শিক্ষক পরিতোষ কুমার মন্ডল বলেন, গ্রামের স্কুল। শিক্ষার্থীরা ঠিকমত স্কুলে আসেনা। ওরা একটা গাইড বই কিনেনা। প্রাইভেটও পড়েনা। যে কারনে রেজাল্ট খারাপ করেছে।

সরেজমিনে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, দশম শ্রেনীতে দুইজন, নবম শ্রেনীতে একজন, অষ্টম শ্রেণীতে দুইজন শিক্ষার্থী ক্লাশ করছে। বাকি সপ্তম এবং ষষ্ঠ শ্রেণীতে কোন শিক্ষার্থী উপস্থিত হইনি। এসময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পর্ষিয়া রানীকে না পেয়ে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমি একটু অসুস্থ। আপনার সাথে ফোনে পরে কথা বলব।

 

 

নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: জাহিদুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ে কিভাবে এমন ফল বিপর্যয় হয়েছে তা জানতে আমরা শিক্ষক অভিভাবকদের নিয়ে একটা সভা করব। 
 

ছামিয়া

×