
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সড়কের সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়া পশ্চিম ইদিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হারুন উর রশীদকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নজরুল ইসলামের কার্যালয়ে এসে এ ধরনের গর্হিত কাজ ভবিষ্যতে আর করবেন না—এই মর্মে মুচলেকা দেন তিনি। পরে তাকে সরকারি গাছ কর্তনের দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় কর্তনকৃত ৪০টি ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছ নিজ খরচে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অফিসে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এর আগে, গত ৪ ও ৫ জুলাই দিনদুপুরে বন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের কোনো লিখিত অনুমোদন না নিয়েই ফটিকছড়ি-হেঁয়াকো প্রধান সড়ক থেকে হালদা ভ্যালি চা-বাগান সংযোগ সড়কের পাশে থাকা সরকারি গাছ কর্তন করে বিক্রি করেন প্রধান শিক্ষক মো. হারুন উর রশীদ। পরে কর্তনকৃত গাছগুলো স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী ‘পালসার নাছির’ নামে এক ব্যক্তির কাছে মোটা অঙ্কের বিনিময়ে বিক্রি করেন তিনি। এরপর সেই অর্থ ছয় ভাই-বোনের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে নেন।
এ বিষয়ে গত ৬ জুলাই দৈনিক জনকণ্ঠের অনলাইনে ‘ফটিকছড়িতে সড়কের সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করলেন প্রধান শিক্ষক’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার ১০ দিন পর টনক নড়ে উপজেলা প্রশাসনের। আজ সোমবার দুপুরে তাঁকে এসিল্যান্ডের কার্যালয়ে ডেকে এনে প্রথমে মুচলেকা নেওয়া হয়। পরে সরকারি গাছ কর্তনের অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নজরুল ইসলাম।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “তাকে (প্রধান শিক্ষক) অফিসে ডাকা হয়েছে। সরকারি গাছ কর্তনের বিষয়ে লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে। তিনি এ ধরনের গর্হিত কাজ ভবিষ্যতে করবেন না মর্মে মুচলেকা প্রদান করেছেন। পরে তাকে সরকারি গাছ কর্তনের দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় কর্তনকৃত ৪০টি ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণি গাছ নিজ খরচে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরে (এলজিইডি) জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
সানজানা