ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

কাউনিয়ায় তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ

মন্জুরুল আহসান শামীম, কাউনিয়া, রংপুর 

প্রকাশিত: ১৬:৪০, ১৪ জুলাই ২০২৫

কাউনিয়ায় তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ

ছবি: জনকণ্ঠ

তালপাকা গরমের মাস শেষ হলেও শেষ হয়নি গরমের দাপট। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রকৃতির বিরূপ আচরণই জানিয়ে দিচ্ছে ঋতুচক্র আগের মতো নেই। তাইতো তপ্ত রোদ আর অসহ্য তাপমাত্রায় বাড়ছে নিত্য আয়েরসহ সবধরনের মানুষের হাঁসফাঁস। তাপদাহ বাড়তে থাকায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কাউনিয়ায় প্রতিটি গ্রামের জলাশয়ে গরমে শিশুদের জলকেলির দৃশ্য এখন চোখে পরার মতো।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, প্রচন্ড গরম থেকে বাঁচতে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ পানিতে নেমে গরম নিবারণের চেষ্টা করছে। নিম্ন আয়ের মানুষরা পড়েছেন বিপাকে। সংসার চালাতে বাধ্য হয়েই কাজে যাচ্ছেন তারা। অনেকেই আবার গরম সইতে না পেরে অসুস্থও হয়ে পড়ছেন।

আবহাওয়ার বিরূপ আচরণে কাউনিয়ায় বেড়ে চলেছে হিট স্ট্রোক, জ্বর, সর্দি, কাশি ও ডায়রিয়াসহ নানা রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে এসব রোগে শিশু ও বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। রিকশাচালক আনো জানান, প্রচন্ড গরমে মানুষ নেই, ভাড়াও পাচ্ছিনা, আর ভাড়া পেলেও গরমে রিকশা চালাতে প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে।

সপ্তাহ জুড়ে চলা দাবদাহে মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। বৃষ্টির জন্য মানুষের মধ্যে হাহাকার পড়েছে। তাপদাহের কারনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তেমন কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। 

একটু প্রশান্তির আশায় শহরের মানুষজন রোদ থেকে বাঁচতে গাছের ছায়া কিংবা শীতল স্থানে ছুটছে। অনেকেই প্রচন্ড রোদ থেকে বাঁচতে ছাতা ব্যবহার করছেন। তাপদাহে চাহিদা বেড়েছে ঠান্ডা পানির। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে আখের রস, লেবু ও ফলের শরবত খেয়ে শরীর জুড়িয়ে নিচ্ছেন অনেকে। বাড়িতে কিংবা অফিসে ফ্যানের বাতাসেও প্রাণ জুড়াচ্ছে না। সবমিলিয়ে কাউনিয়ায় সর্বত্র তীব্র গরমে অস্বস্তির মাত্রা বেড়েছে।

তীব্র গরম আর প্রখর রোদে ফসলের মাঠে কাজ করা মানুষগুলো হাঁসফাঁস করছে। রংপুরের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, প্রকৃতি বিরূপ আচরণ করছে। প্রতিদিন তামপাত্রা বাড়ছে। চিকিৎসকরা তাপপ্রবাহে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।

আবির

×