
ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে দেশটির শীর্ষ এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা কর্নেল ইভান ভোরোনিচকে গুলি করে হত্যা করার পর, ওই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাশিয়ার নিরাপত্তা সংস্থা এফএসবির (FSB) দুই এজেন্টকে হত্যা করেছে ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনী (SBU)।
রোববার (১৩ জুলাই) ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা প্রধান ভাসিল মালিউক এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, রোববার সকালে গ্রেপ্তারের সময় প্রতিরোধের মুখে এ দুই রুশ এজেন্টকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এর আগে ১০ জুলাই সকাল ৯টার দিকে কিয়েভের হোলোসিয়েভস্কি এলাকায় একটি গাড়ি পার্কিংয়ে কর্নেল ভোরোনিচকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি কাছ থেকে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, এক ব্যক্তি ভবন থেকে বেরিয়ে আসার সময় আরেকজন দৌড়ে এসে খুব কাছ থেকে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
রোববার জাতীয় পুলিশ জানায়, নিহত এজেন্টরা "বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিক" হলেও বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি। মস্কোর পক্ষ থেকেও এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি।
ইউক্রেনের SBU জানায়, হামলার আগে এই দুই এজেন্ট কর্নেল ভোরোনিচের গতিবিধি অনুসরণ করছিল। হামলার পর তারা একটি গোপন স্থানে লুকিয়ে ছিল এবং সেখানে একটি সাইলেন্সারযুক্ত পিস্তলও পাওয়া গেছে।
SBU জানিয়েছে, এই হত্যার ঘটনার তদন্তে জাতীয় পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে এদের শনাক্ত ও ধ্বংস করা হয়।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের SBU মূলত অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং গোয়েন্দা নজরদারির কাজ করে। তবে ২০২২ সালে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রিক আক্রমণের পর থেকে তারা রাশিয়ার ভেতরও নানারকম ধ্বংসাত্মক অভিযানে সক্রিয় রয়েছে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে রাশিয়ার শীর্ষ জেনারেল ইগর কিরিলোভের হত্যার পেছনেও ইউক্রেনের SBU জড়িত বলে বিবিসি সূত্র জানায়। এপ্রিলে মস্কোয় গাড়িবোমায় জেনারেল ইয়ারোস্লাভ মোসকালিক নিহত হন, যার দায় কিয়েভের উপর চাপিয়েছে ক্রেমলিন।
এদিকে, রাশিয়া গত সপ্তাহে ইউক্রেনের উপর সর্ববৃহৎ বিমান হামলা চালিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, জুন মাসে গত তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছে।
ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ চলছেই এবং রাশিয়া ধীরে ধীরে পূর্ব ইউক্রেনে অগ্রগতি করছে। এর পাশাপাশি গত গ্রীষ্মে ইউক্রেনের সেনারা রাশিয়ার কুর্স্ক অঞ্চলের কিছু অংশ পুনর্দখল করলেও, বর্তমানে রাশিয়ার সেনারা আবার নিয়ন্ত্রণে নিচ্ছে।
মুমু ২