
ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি এক্স (টুইটার)–এ একটি পোস্টে বিল গেটস জানান, যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য সহায়তা কমিয়ে দেওয়ার ফলে বহু মানুষের জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে। তিনি লেখেন, “তথ্যগুলো সহজ ও মর্মান্তিক: সাহায্য কমিয়ে দেওয়ার কারণে ইতোমধ্যেই প্রাণহানি ঘটেছে, এবং সামনে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।”
বিশেষ করে, পিপফার (PEPFAR – প্রেসিডেন্টস এমারজেন্সি প্ল্যান ফর এইডস রিলিফ) বন্ধ হয়ে গেলে ২০২৯ সালের মধ্যে আরও ৪.২ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
যদিও তিনি ইলন মাস্কের নাম উল্লেখ করেননি, তবু মাস্ক সরাসরি জবাব দিয়ে কটাক্ষ করেন।
একজন এক্স ব্যবহারকারী জন হকিন্স মন্তব্য করেন, “ভাই, আপনার সম্পদের পরিমাণ ১১৭ বিলিয়ন ডলার। যদি আপনি সত্যিই মনে করেন সাহায্য কমিয়ে দেওয়া প্রাণহানি ঘটাচ্ছে, তাহলে নিজের টাকায় সেটা পূরণ করুন।”
এই মন্তব্যের জবাবে ইলন মাস্ক লেখেন, “ঠিক তাই।” তিনি আরও যোগ করেন, “বিল গেটস আসলে খুশি নন, কারণ এখন তার সংগঠন আর যুক্তরাষ্ট্রের করদাতাদের কাছ থেকে বিলিয়ন ডলার পাচ্ছে না।”
মাস্ক-গেটস দ্বন্দ্ব এটাই প্রথম নয়, ইলন মাস্ক এর আগেও বিল গেটসকে বিভিন্নভাবে কটাক্ষ করেছেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে তিনি বলেছিলেন, যদি টেসলা বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানিতে পরিণত হয়, তবে বিল গেটস দেউলিয়া হয়ে যেতে পারেন।
মাস্কের দাবি, গেটস টেসলা কোম্পানির বিরুদ্ধে “শর্ট পজিশন” নিয়েছিলেন—যা এক ধরনের শেয়ার বাজার কৌশল, যেখানে বিনিয়োগকারী কোনো কোম্পানির শেয়ার ধার নিয়ে তা বেশি দামে বিক্রি করেন এবং পরে কম দামে কিনে লাভ করতে চান।
ওয়াল্টার আইজ্যাকসনের লেখা ইলন মাস্কের জীবনী অনুসারে, এই শর্ট পজিশনের কারণে গেটসের প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য সহায়তা নিয়ে বিল গেটসের উদ্বেগ প্রকাশের পর, ইলন মাস্ক তার বিরুদ্ধাচরণে সরব হয়েছেন এবং গেটসের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, এখন আর তার সংগঠন করদাতাদের অর্থে চলবে না— এটাই তার ‘অসন্তোষের আসল কারণ’।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
এম.কে.