
ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে হোয়াইট হাউসে এক বিশেষ নৈশভোজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে স্পষ্ট মন্তব্য করেছেন। নিচে তাঁর মূল বক্তব্যগুলো উল্লেখ করা হলো—
গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের স্থানচ্যুতি প্রসঙ্গে
গাজা পরিস্থিতি নিয়ে ট্রাম্প বলেন—“ইসরায়েলের আশপাশের দেশগুলোর কাছ থেকে আমরা দারুণ সহযোগিতা পেয়েছি। প্রতিটি দেশই আমাদের সহায়তা করেছে। তাই আমি মনে করি, ভালো কিছুই হবে।”
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে
এই বিষয়ে ট্রাম্প খুব সংক্ষিপ্ত মন্তব্য করেন—“আমি জানি না।”
ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে
ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখার কথা জানিয়ে ট্রাম্প বলেন—“আমাদের ইরানের ওপর খুব কঠিন, যাকে বলে 'বাইটিং' বা কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আমি চাই, সঠিক সময়ে সেগুলো তুলে নিতে, যেন তারা নিজেদের পুনর্গঠনের সুযোগ পায়। আমি চাই ইরান শান্তিপূর্ণভাবে নিজেদের গড়ে তুলুক, ‘আমেরিকার মৃত্যু চাই’, ‘ইসরায়েলের মৃত্যু চাই’— এই ধরনের কথা বলা বন্ধ করুক। একসময় তারা ছিল মধ্যপ্রাচ্যের দখলদার, এখন আর তা নেই।”
ইরানের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে
ট্রাম্প জানান, ইরানের সঙ্গে আলোচনার তারিখ নির্ধারিত হয়েছে—“আমরা ইরানের সঙ্গে আলোচনার সময়সূচি ঠিক করেছি, তারা কথা বলতে চায়। আমি মনে করি, আমরা যখন তাদের তিনটি স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা করি, তখন তারা বড় ধাক্কা খেয়েছে।”
ইরানের বিরুদ্ধে আবারও সামরিক হামলার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে
আরও হামলার সম্ভাবনা নিয়ে ট্রাম্প বলেন—“আমি আশা করি, আমাদের আর সেটি করতে হবে না। আমি নিজেও তা চাই না। আমি মনে করি না, তারাও সেটি চাইবে। তারা আলোচনায় বসতে চায়। তারা সমাধান চাইছে।”
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ কি শেষ?
এ বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে ট্রাম্প বলেন—“আমার দৃষ্টিতে, আমি আশা করি এটা শেষ। হ্যাঁ, আমি মনে করি ইরান এখন আলোচনায় আসতে চায়। তারা শান্তি চায়, আমি তাতে সম্পূর্ণ সমর্থন জানাই। তবে যদি তা না হয়, আমরা প্রস্তুত আছি, সক্ষম আছি। তবে আমার মনে হয়, সেটা আর প্রয়োজন হবে না।”
ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ প্রসঙ্গে
ট্রাম্প নিশ্চিত করেন, ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র সহায়তা দেয়া হবে—“আমরা আরও কিছু অস্ত্র পাঠাবো। আমাদের সেটা করতেই হবে। তাদের আত্মরক্ষার সক্ষমতা থাকতে হবে। তারা এখন খুবই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আছে, প্রচণ্ড আঘাতের মুখে পড়েছে। তাই আমরা আরও অস্ত্র পাঠাবো, মূলত প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র।”
শুল্ক আরোপের সময়সীমা (১ আগস্ট) প্রসঙ্গে
শুল্কের সময়সীমা নিয়ে ট্রাম্প বলেন—“আমি বলব, সময়সীমা বেশ কঠোর, তবে একদম শতভাগ কঠিন নয়। যদি তারা ফোন করে বলে, অন্যভাবে কিছু করতে চায়, আমরা সেটা শুনতে প্রস্তুত। তবে আপাতত এটাই বাস্তবতা।”
ট্রাম্পের এসব মন্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপ— বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র এখনো সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে, পাশাপাশি কূটনৈতিক দরজাও খোলা রাখছে।
আবির