
ছবি: সংগৃহীত
প্রশান্ত, আর্কটিক, বাল্টিক এবং কাশপিয়ান সাগরে একযোগে শুরু হয়েছে রাশিয়ার বৃহৎ সামরিক মহড়া—‘জুলাই স্টর্ম’। এই মহড়া যেন যুদ্ধেরই মহড়া। বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়া এর মাধ্যমে শুধু সামরিক সক্ষমতা যাচাই করছে না, বরং পশ্চিমা বিশ্বকে চোখ রাঙাচ্ছে সরাসরি।
এ মহড়ায় অংশ নিচ্ছে ১৫০টিরও বেশি যুদ্ধজাহাজ ও নৌযান এবং প্রায় ১৫,০০০ সামরিক সদস্য। এছাড়া আকাশে অংশ নিচ্ছে ১২০টি যুদ্ধবিমান ও ১০টি উপকূলীয় মিসাইল প্রতিরক্ষা ইউনিট। পুরো অভিযানের নেতৃত্বে রয়েছেন রুশ নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আলেকজান্ডার মইশেফ। মহড়াটি চলবে ২৭ জুলাই পর্যন্ত।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, এই বিশাল সামরিক মহড়ার মূল লক্ষ্য হচ্ছে—
- যুদ্ধক্ষেত্রে নৌবাহিনীর অপারেশনাল প্রস্তুতি যাচাই
- দূর পাল্লার অস্ত্র ও ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার
- পানির নিচে শত্রু সাবমেরিন শনাক্ত ও ধ্বংস
- আকাশপথে শত্রু ড্রোন এবং আক্রমণ প্রতিহত
- অর্থনৈতিক অঞ্চলের নিরাপত্তা
- স্বয়ংক্রিয় যুদ্ধ ব্যবস্থার সক্ষমতা মূল্যায়ন
বিশেষত কাশপিয়ান সাগরে রাশিয়ার এই মহড়ায় ইরান সরাসরি অংশ নিচ্ছে, যা অঞ্চলগতভাবে একটি নতুন সামরিক মেরুকরণের ইঙ্গিত দেয়।
রাশিয়া বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম নৌবাহিনী। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর রাশিয়ার অবস্থান। তবে ইউক্রেন যুদ্ধে ন্যাটোসহ পশ্চিমাদের সম্মিলিত অস্ত্র সহায়তাও পুতিনকে ঠেকাতে পারেনি। বরং উল্টো ইউক্রেনের একের পর এক অঞ্চল রাশিয়ার দখলে চলে যাচ্ছে বলে দাবি করছে মস্কো।
সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপ প্যাট্রিয়ট মিসাইল সরবরাহ করেছে ইউক্রেনকে, যা নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর জবাবে তিনি ইউরোপে হামলার হুমকি দিয়েছেন।
এই মুহূর্তে ন্যাটো জোট দেশগুলোও বাড়াচ্ছে তাদের সামরিক প্রস্তুতি। ইউরোপজুড়ে বাড়ছে যুদ্ধ শঙ্কা।
বিশ্লেষকদের মতে, ‘জুলাই স্টর্ম’ রাশিয়ার এক ধরনের বার্তা, “আমরা প্রস্তুত। আর যদি তোমরা উস্কানি বন্ধ না করো, যুদ্ধ থেমে থাকবে না।”
শেখ ফরিদ