
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমান ব্যস্ত জীবনে যখন অনলাইন ফুড ডেলিভারি ও রেস্তোরাঁয় খাওয়ার অভ্যাস বেড়ে যাচ্ছে, তখন ঘরে বসে রান্না করাকে আবারও গুরুত্বের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছেন একজন কার্ডিওথোরাসিক সার্জন। ড. জেরেমি লন্ডন, যিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হৃদরোগ প্রতিরোধ ও সুস্থ জীবনের নানা টিপস দিয়ে থাকেন, তিনি সম্প্রতি ঘরে রান্না করার পক্ষে ৫টি গুরুত্বপূর্ণ ও বিজ্ঞানসম্মত যুক্তি তুলে ধরেছেন।
চলুন জেনে নিই, কেন ঘরে রান্না করাই হতে পারে সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি
১. সচেতন খাওয়ার অভ্যাস
ড. জেরেমির মতে, "যখন আপনি রান্না করেন, তখন আপনি নিয়ন্ত্রণ করেন—কি খাবেন, কী খাবেন না এবং কী পরিমাণে খাবেন।" ঘরে রান্না করলে লুকানো চিনি, ট্রান্স ফ্যাট বা ‘মিস্ট্রি অয়েল’ এড়ানো সহজ হয়। এতে প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে থাকা যায়, যা ওজন, রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।
২. অর্থ সাশ্রয়
রেস্তোরাঁয় খাওয়ার বিল যেমন চড়া, তেমনি প্রতিনিয়ত বাইরে খেলে খরচ দ্রুত বেড়ে যায়। ঘরে রান্না করে খেলে প্রতি সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে টাকা সাশ্রয় করা যায়। ড. লন্ডন বলেন, "ঘরে রান্না আপনার বাজেট সামলাতে সাহায্য করে এবং খাদ্য অপচয় কমায়।"
৩. স্বাস্থ্যগত উপকার
বাইরে খাওয়া খাবারে কী উপাদান, কোন তেলে রান্না করা হয় বা তা কতটা স্বাস্থ্যকর—এ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া কঠিন। কিন্তু গবেষণা বলছে, যারা নিয়মিত ঘরে রান্না করেন, তাদের মধ্যে স্থূলতা, হৃদরোগ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম। ড. জেরেমি একে বলেন “লং-টার্ম ওয়েলনেস উইন”।
৪. পরিমিত খাওয়া
রেস্তোরাঁয় খাবারের পরিমাণ অতিরিক্ত হয়, যা অধিকাংশ সময় অতিরিক্ত খাওয়া বা ওভারইটিংয়ের দিকে ঠেলে দেয়। ঘরে রান্না করলে আপনি নিজেই ঠিক করতে পারেন—প্লেটে কতটুকু খাবার থাকবে। ফলে আপনি খাচ্ছেন সচেতনভাবে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৫. সম্পর্ক উন্নয়ন ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি
ঘরে রান্না শুধু শারীরিক নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একসঙ্গে রান্না করা কিংবা নিজেই নিজের জন্য রান্না করা—উভয়ই মানসিক প্রশান্তি ও বন্ধনের অনুভব তৈরি করে। ড. লন্ডন বলেন, “ঘরে রান্না মানে সম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ।”
তথ্যসূত্র: ড. জেরেমি লন্ডন, এমডি (Cardiothoracic Surgeon)
আঁখি