
ছবি: সংগৃহীত
হলুদ দুধ, যেটি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় “সোনালি দুধ” নামেও পরিচিত, শত শত বছর ধরে ভারতে ও বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি মূলত গরম দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে তৈরি করা হয়। হলুদের সক্রিয় উপাদান কুরকুমিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যার রয়েছে প্রদাহনাশক ও জীবাণুনাশক গুণাগুণ। দুধের সঙ্গে মিশলে হলুদের পুষ্টিগুণ শরীরে সহজে শোষিত হয়, ফলে তা আরও কার্যকরভাবে কাজ করে।
এই উষ্ণ ও আরামদায়ক পানীয়টি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রদাহ কমানো থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো পর্যন্ত—বিভিন্ন সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান হিসেবে কাজ করে হলুদ দুধ।
প্রতিদিন হলুদ দুধ খাওয়ার উপকারিতা:
১. প্রদাহ কমায়:
হলুদ দুধে থাকা প্রাকৃতিক প্রদাহনাশক উপাদান শরীরের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্ট ব্যথা ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
এর জীবাণুনাশক ও ভাইরাসনাশক গুণ শরীরকে রোগের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে।
৩. হজম শক্তি বাড়ায়:
হলুদ দুধ হজম শক্তি উন্নত করে, গ্যাস, বদহজম ও পেটফাঁপা দূর করতে সহায়ক।
৪. গাঁটের ব্যথা কমায়:
আর্থ্রাইটিস বা জয়েন্টের ব্যথায় হলুদ দুধ প্রাকৃতিক ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে।
৫. মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়:
হলুদ রক্ত-মস্তিষ্ক বাধা অতিক্রম করতে সক্ষম এবং স্নায়ুরোগ প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে।
৬. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়:
কোলেস্টেরল কমাতে ও হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৭. ওজন কমাতে সাহায্য করে:
এটি বিপাকক্রিয়া বাড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারে।
৮. লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে:
লিভার সুস্থ রাখতে ও ক্ষতি প্রতিরোধে সহায়ক।
৯. দুশ্চিন্তা ও স্ট্রেস কমায়:
হলুদের ঘুম ও মনের প্রশান্তি আনে—দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ কমাতে কার্যকর।
১০. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়:
হলুদের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ ত্বকে ব্রণ ও অন্যান্য সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
এই দুধটি প্রতিদিন রাতে খাওয়া হলে শরীর ও মনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে কারও কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত গ্রহণ করাই উত্তম।
আবির