
ছবি: সংগৃহীত
সাধারণভাবে ধূমপানকেই ফুসফুস ক্যানসারের প্রধান কারণ মনে করা হয়। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, যাঁরা কখনো ধূমপান করেননি, তাঁদের মধ্যেও উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে এই মরণব্যাধি।
গবেষক ও চিকিৎসকরা বলছেন, এর পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন কোন ঝুঁকিপূর্ণ কারণে অ-ধূমপায়ীরাও আজ ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন:
ধূমপানের বাইরে ফুসফুস ক্যানসারের ৬টি প্রধান কারণ
১. বায়ুদূষণ ও PM2.5
আতিপুঙ্খানু কণা PM2.5 ফুসফুসে ঢুকে কোষে স্থায়ী ক্ষতি করে। ২০২২ সালের 'Nature' জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা অনুযায়ী, এই কণা ফুসফুস কোষে ঘুমিয়ে থাকা মিউটেশনকে সক্রিয় করে ক্যানসার তৈরি করে।
২. রেডন গ্যাস
মাটির নিচের ইউরেনিয়াম ক্ষয়ের ফলে তৈরি হয় রেডন গ্যাস। এটি ঘরের ফাঁকফোকর দিয়ে ঢুকে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রে ধূমপান ছাড়া ফুসফুস ক্যানসারের শীর্ষ কারণ এটি।
৩. সেকেন্ডহ্যান্ড স্মোক
ধূমপায়ী কারো পাশে দীর্ঘসময় থাকলে তার ধোঁয়া থেকেও শরীরে প্রবেশ করে ক্যানসার সৃষ্টিকারী পদার্থ। এতে প্রতিবছর হাজার হাজার অ-ধূমপায়ী প্রাণ হারান।
৪. জেনেটিক মিউটেশন
EGFR মিউটেশন, যা ধূমপান না করেও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়, তা বেশি দেখা যায় এশিয়ান নারীদের মধ্যে। এটি চিকিৎসায় আলাদা পন্থা গ্রহণের প্রয়োজন তৈরি করে।
৫. রান্নাঘরের ধোঁয়া ও ভাজাভুজি
বায়োফুয়েল, কাঠ বা কয়লায় রান্না করা ও অপ্রশস্ত রান্নাঘরের কারণে নারীরা বেশি ঝুঁকিতে পড়েন। উচ্চতাপে তেল গরম করা থেকেও সৃষ্টি হয় ক্ষতিকর PAH কণিকা, যা ক্যান্সার সৃষ্টি করে।
৬. ভাইরাস সংক্রমণ
HPV ও Epstein-Barr ভাইরাসের কিছু স্ট্রেইন ফুসফুসে টিউমার তৈরির পেছনে ভূমিকা রাখতে পারে বলে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
সমাধান কী?
- বায়ুদূষণ ও রান্নাঘরের বায়ু গুণমান নিশ্চিত করা
- রেডন টেস্টিং
- অল্পবয়সী বা অ-ধূমপায়ীদের স্ক্রিনিং চালু করা
- স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা
- পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত করা
মুমু ২