
ছবি: সংগৃহীত
হৃদরোগ এখন বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। লাখ লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে দৈনন্দিন জীবনে কঠিন নিয়ন্ত্রণে থাকতে বাধ্য হন। তবে সুখবর হলো, সহজ কিছু জীবনযাপন পরিবর্তনের মাধ্যমে এই ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। এর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর পরিবর্তন হলো স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা, যার মধ্যে ফলমূল একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ফলের মধ্যে রয়েছে ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং নানা পুষ্টিগুণ, যা হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। নিচে এমন ৫টি ফল তুলে ধরা হলো, যেগুলো নিয়মিত খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যেতে পারে।
১. আপেল
আপেল এমন একটি ফল যাতে রয়েছে পেকটিন নামক দ্রবণীয় ফাইবার, যা শরীরের ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েডস প্রদাহ রোধে এবং রক্তনালী সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন আপেল খাওয়ার অভ্যাস হৃদযন্ত্রকে কর্মক্ষম রাখে এবং আর্টারিতে চর্বি জমার ঝুঁকি কমায়।
২. সাইট্রাস ফল
কমলা, লেবু, মালটা, জাম্বুরা ইত্যাদি সাইট্রাস ফলে রয়েছে ভিটামিন সি ছাড়াও ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং দ্রবণীয় ফাইবার, যা রক্তনালীর স্বাস্থ্য রক্ষায় এবং কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত এই ফলগুলো খেলে উচ্চ রক্তচাপ এবং ধমনিতে চর্বি জমার প্রবণতা কমে।
৩. বেরি
স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাসবেরি ইত্যাদি বেরিতে থাকে অ্যান্থোসায়ানিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা প্রদাহ কমায় ও রক্তনালীর স্বাস্থ্য রক্ষা করে। এগুলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, খারাপ কোলেস্টেরল কমানো এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
৪. ডালিম
ডালিমে রয়েছে পলিফেনলস নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখে এবং ধমনির দেয়ালকে সুরক্ষা দেয়। নিয়মিত ডালিমের রস পান করলে রক্তচাপ কমে এবং এলডিএল কোলেস্টেরল অক্সিডাইজ হওয়া থেকে রক্ষা পায়।
৫. আঙুর
ডার্ক কালারের আঙুরে থাকে রেসভেরাট্রল নামক শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা রক্তনালীকে শিথিল করে এবং রক্তে জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে। নিয়মিত আঙুর খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং আর্টারিগুলো বেশি স্বাস্থ্যবান থাকে।
কেন এই ফলগুলো হার্টের জন্য উপকারী?
এই ফলগুলোতে রয়েছে ফাইবার, যা কোলেস্টেরল কমায়; অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা রক্তনালী রক্ষা করে; প্রদাহ কমায় এমন উপাদান; পটাশিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ভিটামিন সি ও ই, যা হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
মুমু ২