
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে আবারও কিছু কিছু জায়গায় বাড়ছে কোভিড-১৯ সংক্রমণ। বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ও চীনে দেখা দিচ্ছে নতুন ওমিক্রন সাব-ভেরিয়েন্টের সংক্রমণ। এই অবস্থায় ভারতের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (AIIMS)-এর একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক ও অধ্যাপক জানিয়েছেন, বয়স্ক ও শারীরিকভাবে দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য বুস্টার ডোজ হতে পারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বুস্টার কি এখনই দরকার?
AIIMS-এর ডা. রঞ্জন একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী বলেন, ‘ওমিক্রন সংশ্লিষ্ট ভ্যারিয়েন্টগুলোর বিরুদ্ধে বুস্টার ডোজ হাসপাতাল ভর্তির হার, মারাত্মক অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হতে পারে।’
তবে তিনি জানান, বুস্টার ডোজ সব ক্ষেত্রে হালকা উপসর্গ বা উপসর্গবিহীন সংক্রমণ প্রতিরোধে ততটা কার্যকর নয়।
যারা এক বছরের বেশি সময় আগে করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাদের আবার বুস্টার নেওয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন ডা. রঞ্জন। তিনি বলেন, “নতুন ‘মনোভ্যালেন্ট’ ভ্যাকসিন যা JN.1 বা এর কাছাকাছি সাব-ভেরিয়েন্ট টার্গেট করে, তা LF.7 এবং NB.1.8-এর মত নতুন স্ট্রেইনগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারে।”
অন্যান্য দেশে কী অবস্থা?
সিঙ্গাপুরে কোভিডের নতুন ঢেউ আসলেও আইসিইউ ভর্তি সামান্য কমেছে এবং বেশিরভাগ সংক্রমণই ছিল মৃদু উপসর্গের। এ ছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশ ও চীনেও ওমিক্রনের সাব-ভেরিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ভারতের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে ডা. রঞ্জন বলেন, ‘মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত দেশের পরিস্থিতি মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল। কিছু রাজ্যে হালকা সংক্রমণের কিছু ঘটনা ছাড়া বড়সড় উদ্বেগের কিছু নেই।’
তিনি জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন ও প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেন।
ডা. রঞ্জনের মতে, ‘মৃদু উপসর্গ চিনে রাখুন, বুস্টার ডোজ এবং ভ্যাকসিনের উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন হোন এবং যারা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, তাদের সুরক্ষায় মনোযোগ দিন।’
ভুল তথ্য ও গুজব রুখতে তিনি সকলকে নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করার অনুরোধ জানান।
যদিও বাংলাদেশে এখনো কোনো বড় ধরনের সংক্রমণের খবর নেই, তবে বয়স্ক ও ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য বুস্টার ডোজ বিবেচনা করা যেতে পারে, বিশেষ করে যারা এক বছরের বেশি সময় আগে শেষ ডোজ নিয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, ভ্যাকসিন নেওয়া ও সচেতন থাকা এখনো এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের প্রধান অস্ত্র।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
রাকিব