
ছবিঃ সংগৃহীত
ভূমিহীনদের জন্য কৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত কার্যক্রমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জমি বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকার নির্ধারিত নীতিমালার আওতায় ভূমিহীনদের আবেদন গ্রহণ, যাচাই-বাছাই এবং চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করে কৃষি খাস জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। জমির বন্দোবস্তের ক্ষেত্রে এক টাকার সেলামিতে ফ্রি ক্যাটাগরিতে জমি দেওয়া হয়, যা বাজারমূল্যের ১০%, ৫০% বা ১০০% দামের অন্যান্য ক্যাটাগরি থেকে আলাদা।
অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত শ্রেণি:
১. মুক্তিযোদ্ধা পরিবার
২. নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার
৩. স্বামী পরিত্যক্তা ও বিধবা (যাদের উপার্জনক্ষম সন্তান রয়েছে)
৪. কৃষি জমি ও বাস্তুহীন পরিবার
৫. সরকারি প্রকল্পে অধিগ্রহণের ফলে ভূমিহীন হওয়া পরিবার
আবেদনের প্রক্রিয়া:
ভূমিহীনদের সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর নিকট নির্ধারিত ফর্মে আবেদন করতে হয়। আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে বাছাই কমিটি গঠন করা হয়, যেখানে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা তালিকা প্রস্তুত করেন। উপজেলা কমিটি প্রয়োজন হলে সরেজমিন তদন্ত করে চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করে।
নির্ধারিত শর্তাবলি:
- আবেদনপত্রে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড মেম্বারের সত্যায়নসহ নাগরিকত্ব সনদ এবং ছবি যুক্ত করতে হবে।
- একই পরিবারের একাধিক সদস্য জমির জন্য আবেদন করতে পারবে না; যৌথ পরিবার হলে একজন পাবেন।
- স্বামী-স্ত্রী যৌথ নামে জমি বরাদ্দ পেতে পারেন, তবে বিধবা বা বিপত্নিক ব্যক্তি একক নামেও জমি পেতে পারেন।
- সর্বোচ্চ ১ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়; উপকূলীয় এলাকায় দেড় একর পর্যন্ত দেওয়া হয়।
উপকূলীয় জেলা সমূহ:
খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পিরোজপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, সন্দ্বীপ, কক্সবাজার সদর, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, টেকনাফ, চকরিয়া।
সতর্কতা:
ভূমিহীনদের তালিকায় অনুপ্রবেশ ঠেকাতে উপজেলা কমিটি কঠোর যাচাই-বাছাই করে থাকে। এ ক্ষেত্রে যাদের জমি আছে বা যারা প্রভাবশালী, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আবেদন বা পরামর্শের প্রয়োজনে নির্দিষ্ট কনসালটেশনের নম্বরে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সবার জন্য বার্তা:
আবেদনকারীদের সব তথ্য সঠিকভাবে প্রদান এবং সত্যায়িত করতে হবে যাতে প্রকৃত ভূমিহীনরা সরকারের সহায়তা পেতে পারেন।
মারিয়া