
ছবি: সংগৃহীত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘদিনের জটিলতার মূল কারণ হিসেবে জরিপ ব্যবস্থাকে চিহ্নিত করেছেন ভূমি সচিব। তিনি বলেন, "আমরা এখনো ১৮৮৮ সালে ব্রিটিশ আমলে সম্পন্ন হওয়া সিএস জরিপকে ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করছি, যেটি সম্পূর্ণ করতে সময় লেগেছিল ৫২ বছর। অথচ সেই সময় জরিপ পদ্ধতি ছিল অনেক সহজ। পুরো ঢাকা জেলা ছিল মাত্র দুইজন মালিকের হাতে—নবাব পরিবার ও ভাওয়াল পরিবার। তবুও জরিপ শেষ করতে দীর্ঘ সময় লেগেছিল।"
তিনি আরও জানান, সিএস-এর পর এসএ, আরএস ও বিএস নামে আরও জরিপ হয়েছে, কিন্তু সবই পুরনো ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে। তবে এবার জরিপ ব্যবস্থায় আসছে যুগান্তকারী পরিবর্তন।
ভূমি সচিব বলেন, "প্রযুক্তির উন্নতির ফলে এখন জরিপের কাজ কয়েক সেকেন্ডেই করা সম্ভব। ড্রোন ব্যবহার করে প্রতি মিনিটে ৫০০ থেকে ৬০০ ছবি তোলা যাবে এবং তা সফটওয়্যারে দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে মানচিত্র তৈরি হয়ে যাবে।"
এই আধুনিক জরিপ কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য দক্ষিণ কোরিয়া সম্মতি দিয়েছে বলে তিনি জানান। কোরিয়া এই প্রকল্পে ৮০০ থেকে ৯০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে, যা প্রাথমিক পর্যায়ে সম্পূর্ণ বিনা খরচে দেওয়া হবে। এছাড়া, ২৮ বছরের গ্রেস পিরিয়ড থাকছে, যা বাংলাদেশের জন্য একটি বিরাট সুযোগ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
ভূমি সচিব আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, "আগে যেখানে জরিপে অর্ধশতাব্দী লাগতো, এখন তা সম্পন্ন হবে মুহূর্তেই। প্রযুক্তিনির্ভর এই উদ্যোগ ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা নিশ্চিত করবে।"
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=87CYfmEREvY
এএইচএ