ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

এবার ইউক্রেনের রাজধানীতে রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা

প্রকাশিত: ১৬:১৪, ২৪ মে ২০২৫; আপডেট: ১৬:৩৪, ২৪ মে ২০২৫

এবার ইউক্রেনের রাজধানীতে রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা

ছবি: সংগৃহীত।

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া, এতে অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। 

শনিবার (২৪ মে) এই হামলায় একটি শপিং সেন্টার ও আবাসিক ভবনে ধ্বংসাবশেষ পড়ে, তাৎপর্যপূর্ণভাবে জরুরি উদ্ধার তৎপরতা চালাতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।

এটি এমন সময়ের হামলা, যখন বিগত কয়েকদিন ধরে ইউক্রেনও রাশিয়ার অভ্যন্তরে, এমনকি মস্কোসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৮০০টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যার ফলে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে।

কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিচকো জানিয়েছেন, রুশ হামলায় শহরের অন্তত ৮ জন আহত হন। হামলার সময় শেয়ার হওয়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের ছাদ থেকে ঘন ধোঁয়া উড়ছে এবং একটি কাছাকাছি ভবন থেকে আগুন জ্বলছে। আগুন নেভাতে কাজ করছে দমকল বাহিনী। কিয়েভের আকাশে দেখা গেছে আগুনের লেলিহান শিখা ও কালো ধোঁয়ার মেঘ।

কিয়েভ সামরিক প্রশাসনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান তিমুর তকাচেঙ্কো জানিয়েছেন, শনিবার ভোরে রাজধানীর চারটি জেলায় রুশ হামলায় ছোড়া গোলাবারুদ ও ধ্বংসাবশেষ পড়েছে। তিনি বলেন, “ছয়জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং সোলোমিয়ানস্কি জেলায় দুটি স্থানে আগুন লেগেছে।”

কিয়েভের ওবলোন জেলায় একটি শপিং সেন্টার ও আবাসিক ভবনে ধ্বংসাবশেষ পড়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মেয়র ক্লিচকো। তিনি আগেই নগরবাসীকে রুশ ড্রোন আসার ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন।

এই হামলার আগেই ইউক্রেন রাশিয়ার অভ্যন্তরে টানা ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে। গত কদিনে এসব হামলার সংখ্যা প্রায় ৮০০-তে দাঁড়িয়েছে। মস্কোসহ রাশিয়ার বেশ কিছু এলাকায় লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ শুক্রবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনের এসব ড্রোন হামলার জন্য তারা প্রতিশোধ নেবেন। তিনি বলেন, “ইউক্রেনের এই তীব্র ড্রোন হামলা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সরাসরি সমর্থনের ফল। সম্প্রতি কিছু ইউরোপীয় নেতার কিয়েভ সফর ছিল এর পেছনে বড় কারণ।”

লাভরভ আরও বলেন, “আমরা নিশ্চিত, এসব অপরাধে তাদের ভূমিকার জন্য তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।”

তিনি বলেন, “এটি স্পষ্টত শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করার একটি অপচেষ্টা। ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের মধ্যে হওয়া আলোচনার অগ্রগতি ব্যাহত করতেই এই উসকানি চলছে। তবে আমরা এই শান্তিপ্রচেষ্টা চালিয়ে যাব- যে কোনো ধরনের উসকানির মুখেও।”

সূত্র: https://shorturl.at/ufEtx

মিরাজ খান

×