
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবৈধ পুশ-ইনের নতুন এক অভিযোগ সামনে এসেছে। ঠাকুরগাঁও সীমান্ত দিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো ১৭ জনের একজন, জাহানারা খাতুন, দাবি করেছেন—ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ তাকে ও অন্যদের গুলি ছুঁড়ে দৌড়াতে বলেছিল এবং কী বললে ধরা পড়লে বাঁচা যায় তাও ‘শিখিয়ে’ দিয়েছিল।
গত শনিবার ভোরে ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে জাহানারা খাতুনসহ ১৭ জনকে আটক করে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। বিজিবি জানায়, তারা সবাই ভারত থেকে পুশ-ইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিলেন।
জাহানারা বলেন, “বিএসএফ আমাদের বলেছে যে আমরা দুটো গুলি মারবো। গুলি মারার পরে তোমরা সব দৌড় মারবা। তো ওরা দুটো গুলি মারে। তখন আমরা সবাই ভেগে দৌড় মারি। সামনে বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে পড়ি।”
তিনি আরও দাবি করেন, ধরা পড়লে কী বলতে হবে—তাও আগেই জানিয়ে দিয়েছিল বিএসএফ: “ওরা বললো, যদি ধরা পড়ো তাহলে বলবা যে আমরা ইন্ডিয়া যাচ্ছিলাম, সীমান্তে বিএসএফ তাড়া দেয়ায় আবার ফিরে এসেছি।”
বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ধরণের পুশ-ইন আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। বিষয়টি নিয়ে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে।
এ ধরনের পুশ-ইনের ঘটনা সীমান্ত এলাকায় মানবিক ও কূটনৈতিক জটিলতা বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন মানবাধিকার কর্মীরা।
এই বিষয়ে বিএসএফের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সূত্র: বিবিসি
ফারুক