ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

খুলনায় কোরবানির পশুর সরবরাহ চাহিদার চেয়ে বেশি

আরিফুর রহমান, খুলনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:২৭, ২৪ মে ২০২৫

খুলনায় কোরবানির পশুর সরবরাহ চাহিদার চেয়ে বেশি

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে খুলনা জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে এবার ইতিবাচক ব্যবধান রয়েছে। এ অঞ্চলের খামারিরা বেশ প্রস্তুতি নিয়েই গরু লালন পালন করেছেন। অন্যদিকে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং টিমের মাধ্যমে তদারকি করছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, খুলনায় এবার কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৩১টি। যেখানে জেলার মোট চাহিদা ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ২৮৫টি। অতিরিক্ত পশু রয়েছে ৬ হাজার ৭৪৬টি।

খামার সংশ্লিষ্টরা জানান, এবার খামারিরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। কারণ গত বছর পশুর দাম ভালো পাওয়া গিয়েছিল। পাশাপাশি, অনেক খামারি এবার অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও পশু বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন। খামারিরা নিয়মিত স্থানীয় পশু ডাক্তারের সহায়তা নিয়ে গরু লালন পালন করছেন। এছাড়াও অতিরিক্ত পশুর কারণে খুলনায় পশুর দাম তুলনামূলকভাবে সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর জানায়, কোরবানির পশুর স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পশুর হাটগুলোতে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যবিধি ও দাম নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হচ্ছে বিশেষ ব্যবস্থা।

ডুমুরিয়ার খামারি ইয়াসিন আহমেদ বলেন, গত সপ্তাহ থেকেই ক্রেতারা খামারে আসছেন। এজন্য বেশ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আর ঠান্ডা-গরম আবহাওয়াতে পশুকে সুস্থ রাখতে সব সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ রেখে দেখ ভাল করা হচ্ছে।

বটিয়াঘাটার ইনসান এগ্রোর স্বত্বাধিকারী জুনায়েদ আব্দুল্লাহ বলেন, বছর জুড়েই খামারে পশু পালন করা হয়। নিয়মিত খাদ্য, ওষুধ এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কাজ চলতে থাকে। আর কিছুদিন পরেই ঈদুল আযহা বলে একটা অন্য রকম ভালো লাগার আমেজ চলছে। সবাই পশু ক্রয় বিক্রয় নিয়ে সময় কাটাচ্ছেন।

খুলনা জেলা প্রানী সম্পদ অফিসার ডা: মো: শরিফুল ইসলাম বলেন, কোরবানির পশুর স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে এবং অতিরিক্ত মুনাফার উদ্দেশ্যে কেউ রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করছে কিনা তা তদারকি করতে মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

 

রাজু

×