
ছবিঃ সংগৃহীত
শিগগিরই আসছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ‘সুপার ভিসা’ – একবার ভিসা নিয়ে একাধিক দেশ ভ্রমণের স্বপ্ন সত্যি হতে যাচ্ছে!
কল্পনা করুন, একটিবার ভিসা নিয়ে থাইল্যান্ডের সোনালি সৈকত থেকে শুরু করে মালয়েশিয়ার সুস্বাদু রাস্তাঘাটের খাবার খেতে পারবেন, তারপর চলে যাবেন ভিয়েতনাম বা ফিলিপাইনে, আর প্রতিবার ভিসার জন্য ঝামেলা নেই, বারবার স্ট্যাম্প করানোর দরকার নেই!
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আসিয়ান দেশগুলো এখন এমন একটা ‘সুপার ভিসা’ নিয়ে কাজ করছে, যা ইউরোপের শেঞ্জেন ভিসার মতো হবে।
আসল কথা কি?
এই ভিসা থাকলেই আপনি সাতটি আসিয়ান দেশের মধ্যে ঘুরতে পারবেন, এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাতায়াত হবে খুব সহজ, আর ভিসা নিয়ে ঝামেলা থেকে মুক্তি। এখনো পুরো আসিয়ান অঞ্চলের ১০টি দেশের মধ্যে সাতটি দেশের সঙ্গে এটা প্রথম ধাপে আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে — সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, মায়ানমার, কম্বোডিয়া, লাওস এবং ভিয়েতনাম।
কেন এই নতুন ভিসা?
আমরা জানি, আসিয়ান দেশগুলো আগে থেকেই একে অপরের নাগরিকদের কিছুটা ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের সুবিধা দিচ্ছে। কিন্তু এবার তারা চাইছে আরও একদম সহজ ও ঝামেলামুক্ত এক ব্যবস্থা, যাতে পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ আরো আনন্দদায়ক হয়।
সুবিধা কী কী?
- এক ভিসায় সাত দেশের ভিন্ন ভিন্ন রঙিন সংস্কৃতি, মনোরম খাবার, চমৎকার স্থান সবই ঘুরে দেখার সুযোগ
- বিমানবন্দর বা সীমানায় দীর্ঘ লাইন ও অপেক্ষা কমে যাবে
- সড়কভ্রমণ, সমুদ্রযাত্রা, ঐতিহ্যবাহী উৎসব উপভোগ করা যাবে অনেক সহজে
- পর্যটন ব্যবসায়ের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা ওই অঞ্চলের অর্থনীতির জন্য বড় সুবিধা
- বিলাসবহুল হোটেল আর মাইশেলিন স্টার রেস্টুরেন্টসহ বিশেষ প্যাকেজও আসতে পারে
আসিয়ানের জন্য এর গুরুত্ব
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পর্যটনে প্রতিনিয়ত দ্রুত বেড়ে চলেছে। থাইল্যান্ড আর মালয়েশিয়া বছরে ৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত পর্যটন আয় করে। এই সুপার ভিসা হলে তাদের পর্যটক সংখ্যা আরও গুণ বেড়ে যাবে।
কবে থেকে শুরু?
সব ঠিক থাকলে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ বা ২০২৬ সালে আমরা এই ভিসা পেয়ে যাব। ২০২৬ সালে ম্যানিলায় আসিয়ান সামিটও অনুষ্ঠিত হবে, যা এই উদ্যোগকে আরও এগিয়ে নেবে।
ভাবছেন কি?
একবার ভিসা নিয়ে পুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে ঘোরাঘুরি, নতুন অভিজ্ঞতা আর অজানা খাবারের স্বাদ নেওয়া এখন আর দূরত্বের গল্প নয়। এটা একদম কাছাকাছি সময়ের ব্যাপার।
মারিয়া