ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

হাটের সৌন্দর্য বাড়াতে ব্যস্ত কালিয়াকৈরের ইজারাদাররা

মোঃ ইমারত হোসেন, কালিয়াকৈর, গাজীপুর

প্রকাশিত: ১৫:৫৯, ২৪ মে ২০২৫

হাটের সৌন্দর্য বাড়াতে ব্যস্ত কালিয়াকৈরের ইজারাদাররা

ছবি : সংগৃহীত

ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বিভিন্ন এলাকায় হাটের ইজারাদাররা কোরবানির পশু বিক্রির জন্য হাটের সৌন্দর্য বাড়াতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আর মাত্র কয়েকদিন বাকি কোরবানির ঈদ। শনিবার সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে গিয়ে দেখা যায়, হাটের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ইজারাদারদের লোকজন।

প্রতিবছরই ঈদ উপলক্ষে গরুর খামারিরা তাদের গরু বিক্রির জন্য সারা বছর পশু লালন-পালন করে থাকেন। কোরবানি ঈদ মানেই তাদের পশুগুলো উচ্চ দামে বিক্রি হবে, কিছুটা লাভ হবে, একসাথে অনেক টাকা পাওয়া যাবে—এই প্রত্যাশা নিয়ে ভালো একটি পশুর হাটে তাদের পশু বিক্রির জন্য অপেক্ষা করেন।
যে হাটে ক্রেতার সংখ্যা বেশি থাকে, সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির পশু বিক্রির জন্য সাধারণ মানুষসহ খামার মালিকরাও তাদের পশু বেশি করে নিয়ে আসেন।
উপজেলার তেমনি একটি বিখ্যাত হাট হলো জামালপুর গরুর হাট। এবার হাটটির সর্বোচ্চ টেন্ডার হয়েছে—সর্বমোট এক কোটি ছয় লাখ টাকা। এ হাটে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে খামারিরা পশু বিক্রির জন্য আসেন।

এছাড়াও উপজেলার দোয়ানিচালা, ঠাকুরপাড়া, মসজিদ মার্কেট, ভান্নারা কুরাচালা মাঠ, লালখার মাঠ, ফুলবাড়িয়া, মৌচাক, সফিপুর ও চাপাইরে গরুর হাট রয়েছে।
সব হাটের ইজারাদাররা হাটের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য রাস্তার পাশে বিভিন্ন জায়গায় তোরণ নির্মাণ, পশু বিক্রেতাদের জন্য রাস্তা তৈরি, এবং সারি সারি খুঁটি স্থাপন করেছেন যাতে পশু বিক্রেতারা তাদের পশু সেখানে বেঁধে রাখতে পারেন।

এ বিষয়ে দোয়ানিচালা গরুর হাট কমিটির সভাপতি ও বিএনপির নেতা নওজেস আলী জানান, আমরা দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত গরুর হাট পরিচালনা করে আসছি। প্রতিবছরই গরু বিক্রেতাদের জন্য হাটের সৌন্দর্য বৃদ্ধিসহ নিরাপত্তা জোরদার এবং থাকা-খাওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে থাকি। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও আমরা প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আশা করছি, এবার এই হাটে সবচেয়ে বেশি ব্যবসায়ী সমাগম হবে এবং বেচাকেনাও ভালো হবে।

জামালপুর গরুর হাটের ইজারাদার ফরহাদ হোসেন জানান, দূরবর্তী স্থান থেকে আসা গরু ব্যবসায়ীদের জন্য থাকা-খাওয়া এবং জাল টাকা শনাক্তকরণে মেশিন বসানো হয়েছে। এছাড়া ইচ্ছা করলে বাজারের ব্যাংকে তারা সরাসরি টাকা জমা দিতে পারবেন।

ঠাকুরপাড়া গরুর হাট কমিটির সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা মোঃ আজিবর রহমান জানান, ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য হাটে থাকা-খাওয়া, গোসলের ব্যবস্থা এবং জাল টাকা শনাক্তে নিরাপত্তাসহ সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ফুলবাড়িয়া হাটের ইজারাদার বিএনপির নেতা আরিফ হোসেন খান জানান, ফুলবাড়িয়া গরু-ছাগলের হাটের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে আশপাশের অন্য বাজারগুলোর তুলনায় হসিল কম রাখা হয়েছে। ব্যাপারিদের থাকা-খাওয়া এবং আর্থিক নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।

সা/ই

×