
ছবি: সংগৃহীত
সন্তান জন্মদানে পৃথিবীতে দিন দিন সিজারের হার বেড়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। এর পেছনে অনেকগুলো কারণ জড়িত। সিজারিয়ান মায়েরা পরবর্তীতে কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েন বলে জানিয়েছেন প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বেগম নাসরীন (কিরন)।
ডা. বেগম নাসরীন তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে একটি ভিডিওতে বলেন, ‘অনেকক্ষেত্রে মেডিকেল ইন্ডিকেশনে সিজার করা হয়। কিন্তু অনেক প্রসূতি এসেই বলেন যে, আমি কোনো রিস্ক নেব না, আমি সিজার করাব।’
তবে ‘সিজারের পরবর্তীতে অনেক ধরনের জটিলতা আছে’ বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘নরমাল ডেলিভারির সুবিধা হচ্ছে এটা ন্যাচারাল প্রোসেস। জন্মদানের পরে শিশুর যত্ন খুবই একটা ইম্পর্টেন্ট ইস্যু। নরমাল ডেলিভারি হলে ডেলিভারির পরপরই মা তার বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো, বাচ্চার যত্ন, নিজের যত্ন এগুলো সবকিছুই দ্রুত করতে পারে।’
ডা. বেগম নাসরীন সন্তান জন্মদানের পরে সিজারিয়ান মায়েদের কিছু সীমাবদ্ধতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘সিজার করলে দেখা যায় ব্যথায় পেশেন্ট নড়তেই পারে না। তারপরে সে তার বাচ্চাকেও কেয়ার করতে পারে না, জন্মের পরপরই বুকের দুধ খাওয়াতে দেরি হয় হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিজারের যে একটা কাটা জায়গা থাকে, সেটার একটা ব্যথা থাকে। সেই ব্যথার জন্য সিজারিয়ান মা ভুগতে থাকেন। এছাড়া স্পাইনাল দিয়ে আমরা যে অ্যানস্থেসিয়া দেই, স্পাইনালের জন্যও ব্যথা হয় (স্পাইনাল হেডেক)।’
ডা. বেগম নাসরীন মনে করেন, সিজারের অসুবিধা অনেক বেশি, আর নরমাল ডেলিভারি (ন্যাচারাল প্রোসেস) সবসময় ভালো। তিনি বলেন, ‘নরমাল ডেলিভারি হলে খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে মা স্বাভাবিক লাইফে ফিরে আসতে পারবে। আর সিজার করালে তার পেটের কাটার ব্যথা ভালো হতে, তার সুস্থ হতে লাগবে কমপক্ষে তিন মাস, যেখানে নরমাল ডেলিভারির ক্ষেত্রে এক সপ্তাহের মধ্যেই মা সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারবেন।’
সূত্র: https://www.facebook.com/share/v/15N7GUG4PD/
রাকিব