
ছবিঃ সংগৃহীত
ঘুম শুধু বিশ্রামের জন্য নয়, বরং মস্তিষ্কের সুস্থতার জন্য এক অনিবার্য প্রয়োজন—এ কথা আবারও প্রমাণ করল নিউরোসায়েন্সভিত্তিক একটি সাম্প্রতিক গবেষণা। গবেষণায় দেখা গেছে, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্কের কোষগুলো “স্নাইপিং” প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজের কোষকেই খেয়ে ফেলতে পারে। অর্থাৎ ঘুমের ঘাটতি মস্তিষ্কের সেল ডেথ বা কোষক্ষয় বাড়িয়ে দেয়, যা দীর্ঘমেয়াদে স্মৃতিভ্রষ্টতা, অবসাদ ও অন্যান্য স্নায়ুবিক সমস্যার ঝুঁকি তৈরি করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অপরিহার্য। ৬ ঘণ্টার কম ঘুম শরীরের পাশাপাশি মস্তিষ্কের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে। ঘুমের সময় মস্তিষ্ক তার কোষগুলো পরিষ্কার ও পুনর্গঠন করে। তবে ঘুমের অভাবে এই প্রক্রিয়া ব্যাহত হয় এবং ক্ষতিকর প্রোটিন জমে যেতে থাকে—যা আলঝেইমার ও ডিমেনশিয়ার মতো রোগের জন্ম দিতে পারে।
মস্তিষ্কে অটোফেজি নামে একটি প্রক্রিয়া কোষ পরিষ্কার ও পুনর্গঠনের কাজ করে। কিন্তু ঘুম কম হলে অটোফেজিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে মস্তিষ্ক তার স্নায়ু কোষগুলো রক্ষা করতে ব্যর্থ হয় এবং দীর্ঘমেয়াদে কার্যক্ষমতা হারাতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য যতটা প্রয়োজন খাওয়া ও ব্যায়াম, ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ ঘুম। তাই জীবনযাত্রায় ঘুমের প্রতি অবহেলা নয়—বরং এটিকে সঠিকভাবে গুরুত্ব দিয়ে গ্রহণ করলেই সুস্থ থাকবে মস্তিষ্ক ও মন।
ইমরান