ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কৃষ্ণচূড়ায় রঙিন কুতুবদিয়ার ধূরুং আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পাস

আব্দুল্লাহ আল নওশাদ, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, কুতুবদিয়া, কক্সবাজার।

প্রকাশিত: ০১:৪৭, ২৫ মে ২০২৫

কৃষ্ণচূড়ায় রঙিন কুতুবদিয়ার ধূরুং আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পাস

ছবি: জনকণ্ঠ

প্রচণ্ড দাবদাহের পর স্বস্তি ফিরছে জনজীবনে, সেই সাথে প্রকৃতি ও ফিরে পেয়েছে তার আসল রূপ। কৃষ্ণচূড়া ফুলের রঙে রঙিন ও সুভাষিত  হয়ে উঠেছে  কুতুবদিয়ার প্রাচীন ও স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ ধুরুং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ প্রাঙ্গণ। ক্যাম্পাস জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম শোভা, লাল-সবুজের মোহনায় ক্যাম্পাস রূপ নিয়েছে এক অপূর্ব নয়নাভিরাম দৃশ্যে । কৃষ্ণচূড়ার ডালে দুলতে থাকা লাল পাপড়ি আর হালকা বাতাস যেন গ্রীষ্মের ক্লান্তিতে প্রশান্তি এনে দিয়েছে। প্রকৃতির রঙে সেজে উঠেছে পুরে ক্যাম্পাস। 


গ্রীষ্মের রুক্ষ শুষ্ক এই মৌসুমে কৃষ্ণচূড়া এসেছে শিক্ষার্থীদের মনকে শীতল পরশ দিতে, ক্লান্তি দূর করে নবউদ্যমে জাগিয়ে তুলতে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে কৃষ্ণচূড়া দাঁড়িয়ে আছে অনন্য এক সৌন্দর্যের প্রতীক হয়ে। 
ক্যাম্পাসে কথা হয় এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে, তিনি জানান ক্যাম্পাসে আসলেই অন্যরকম ভালো লাগে এই যেন প্রকৃতিতে বারবার হারিয়ে যাচ্ছি । কৃষ্ণচূড়া দেখে যেন মনের ক্লান্তি ভুলে যাচ্ছি । প্রতি বছরই কৃষ্ণচূড়ার ঔজ্জ্বল্যে ক্যাম্পাস এক নতুন রূপে ধরা দেয়। আমরা প্রায়ই বন্ধুদের নিয়ে ক্যাম্পাসে ঘুরি ছবি তুলি। প্রকৃতির এই নৈসর্গিক রূপ যেন (ধূ আ উ বি) ক্যাম্পাসে এনে দিয়েছে এক অনাবিল প্রশান্তির ছোঁয়া।


ধূরুং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক জনাব ফরিদুল আলম জানান,  স্কুল ক্যাম্পাস সবুজায়ন করতে সেসময় ক্যাম্পাসের চারদিকে বিভিন্ন ধরনের চারাগাছ রুপন করেছিলেন  কালের বির্বতনে হারিয়ে গেছে গাছগুলো, তবে এখনো দু'চারটা কৃষ্ণচূড়া গাছ ক্যাম্পাসের সামনে নৈসর্গিক সৌন্দর্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। শিক্ষার্থীরা কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য দেখে ক্যাম্পাস মুখরিত করে। 
আগামীতে স্কুল ক্যাম্পাস নতুনভাবে সবুজায়ন করার কথা জানান তিনি। 


বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)  কুতুবদিয়া উপজেলা সভাপতি ও বিশিষ্ট পরিবেশকর্মী আবুল কাশেম জানান, আধুনিক এই যুগে প্রতিনিয়ত গাছ কেটে বনভূমি উজাড় করা হচ্ছে। কৃষ্ণচূড়া সহ বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ কেটে আসবাব পত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে।( বাপা)র পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত বৃক্ষনিধন না করার জন্য প্রচারণা করা হচ্ছে। এবং নতুনভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি চালু করা হচ্ছে। 


বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানেও কৃষ্ণচূড়ার দর্শন পাওয়া যায়। তিনি লিখেছিলেন, 'গন্ধে উদাস হাওয়ার মতো উড়ে তোমার উত্তরী/কর্ণে তোমার কৃষ্ণচূড়ার মঞ্জরি।
'বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার একটি গানে বলছেন, 'রেশমি চুড়ির তালে কৃষ্ণচূড়ার ডালে/পিউ কাঁহা পিউ কাঁহা ডেকে ওঠে পাপিয়া।'

সাব্বির

×