
ছবিঃ সংগৃহীত
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি নিষিদ্ধ করার যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শুরু হয়েছে কূটনৈতিক উত্তেজনা। এই সিদ্ধান্তে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশে অবস্থানরত চীনা শিক্ষার্থী ও গবেষকদের অধিকার রক্ষায় তারা সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও আন্তর্জাতিক বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।” তিনি আরও জানান, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাগত সহযোগিতা দুই দেশেরই উপকারে আসে এবং চীনা সরকার তার নাগরিকদের বৈধ অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ জানায়, হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি অনুমতি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বিভাগের অভিযোগ, হারভার্ড নাকি চীনা প্যারামিলিটারি গ্রুপের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে। এতে ইহুদি শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপত্তা হুমকি তৈরি হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
এই সিদ্ধান্তে প্রায় ৬৮০০ বিদেশি শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করতে বা অন্যত্র স্থানান্তর করতে বলা হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি মার্কিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বিদেশি শিক্ষার্থীদের ক্রমবর্ধমান চাপের অংশ, যা উচ্চশিক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের গ্রহণযোগ্যতাকে হুমকির মুখে ফেলছে।
এনএফএসএ প্রধান ফান্তা আও বলেন, “আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা কোনো রাজনৈতিক পণ নয়। তারা গবেষণা ও সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।”
চীন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—এই ধরনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তারা চুপ করে থাকবে না। বিশ্বব্যাপী যখন যুক্তরাষ্ট্র শিক্ষাগত সহনশীলতা হারাচ্ছে, তখন অন্যান্য দেশ মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বলেও মন্তব্য করেন বিশেষজ্ঞরা।
ইমরান