
ছবিঃ সংগৃহীত
গাজায় হামলার মধ্যেই সিরিয়া ও লেবাননের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের ইঙ্গিত ইসরায়েল রাষ্ট্রদূতের।
গাজা উপত্যকায় টানা বিমান হামলায় দিনে শত শত ফিলিস্তিনির প্রাণ নিচ্ছে ইসরায়েল। চলছে জাতিগত নিধন। ঠিক এমন এক প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত ইখিয়েল লইতার চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন—ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের আগে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে পারে সিরিয়া ও লেবানন।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম প্রেগার ইউকে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “সৌদি আরবের আগে সিরিয়া ও লেবানন আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যোগ দিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে পারে। উভয় রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সমঝোতায় যাওয়ার পথে কোনও বাধা নেই। আমি আশাবাদী, তারা যুক্ত হবে।”
তবে বাস্তবতা ভিন্ন কিছু বলছে। বৃহস্পতিবারই দক্ষিণ লেবাননে দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ধ্বংস করেছে একাধিক স্থাপনা। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও দেশটিতে চলছে হামলা।
লেবাননকে ‘ব্যর্থ রাষ্ট্র’ উল্লেখ করে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত বলেন, “লেবাননের সামনে এখন একটি সুশীল সমাজ হিসেবে পুনর্গঠনের সুযোগ রয়েছে।”
সিরিয়ার প্রসঙ্গেও তিনি দাবি করেন, বাশার আল আসাদের পতনের পর দেশজুড়ে চালানো ইসরায়েলি হামলা ন্যায্য এবং তা সংখ্যালঘু দ্রুস ও আলভি সম্প্রদায়ের সুরক্ষার জন্যই।
২০২০ সালে আব্রাহাম অ্যাকর্ডসে যোগ দিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো ও সুদান। সিরিয়া ও লেবাননের সম্ভাব্য যোগদান আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ইমরান