
ছবি: সংগৃহীত
বারুদের যুগে অভ্যস্ত পৃথিবী তাকিয়ে আছে এক নতুন যুগের দিকে—যেখানে যুদ্ধক্ষেত্রে গর্জন করবে না কামান, তবে ধ্বংস আনবে আগুনের চেয়েও গতিসম্পন্ন ধাতব গোলা। এই ভবিষ্যতের অস্ত্রের নাম রেলগান, যার মোক্ষম প্রদর্শনী হয়েছে জাপানের রাজধানী টোকিওতে অনুষ্ঠিত দেশটির বৃহত্তম প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীতে।
রেলগান তৈরি করেছে জাপানের ‘অ্যাকুইজিশন, টেকনোলজি অ্যান্ড লজিস্টিকস এজেন্সি’। সংস্থাটির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘রেলগান হলো ভবিষ্যতের অস্ত্র। এতে বারুদের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয় বিদ্যুৎ।’
এই অস্ত্র চালিত হয় ইলেকট্রোম্যাগনেটিক শক্তিতে, যেখানে বিদ্যুৎ-চালিত চুম্বকীয় বল দিয়ে ধাতব বুলেট ছুড়ে দেওয়া হয় লক্ষ্যবস্তুর দিকে। এর অভিঘাতেই মুহূর্তে ধ্বংস হয় লক্ষ্যবস্তু।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যতে ড্রোন, যুদ্ধজাহাজ এমনকি হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে রেলগান প্রযুক্তি। কর্মকর্তারা বলছেন, এমন সব হুমকির মুখোমুখি হতে হবে ভবিষ্যতে, যা প্রতিহত করা সম্ভব হবে শুধু রেলগান দিয়েই।
বিশ্বের অন্যান্য প্রযুক্তিনির্ভর দেশ—যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স ও জার্মানিও এ প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এগিয়ে আছে জাপান। কারণ, ২০২৩ সালেই দেশটি সফলভাবে প্রথম একটি রেলগান সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে নিক্ষেপ করেছে, যা পরিচালনা করেছে জাপানের নৌবাহিনী।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য নয়, এই রেলগান প্রযুক্তি জাপানের প্রতিরক্ষা শিল্পের ভবিষ্যতেও আমূল পরিবর্তন আনবে। পুরোপুরি প্রস্তুত হলে এটি ট্যাংক ও যুদ্ধবিমানের মতোই যুগান্তকারী একটি আবিষ্কারে পরিণত হবে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=OFX-5sQpvms
রাকিব