
ছবি: সংগৃহীত
আচার ছাড়া ভারতীয় উপমহাদেশের খাবার যেন পরিপূর্ণই হয় না। বিশেষ করে আম, জলপাই কিংবা লেবুর টক-মিষ্টি-মশলাদার আচার—খাবারের স্বাদে আনে ভিন্নতা। তবে শুধু স্বাদের জন্য নয়, আচার হতে পারে আপনার সুস্থতারও এক গোপন চাবিকাঠি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘরে তৈরি গাঁজানো আচার প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। এসব উপাদান হজমে সহায়তা করে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং এমনকি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও ভূমিকা রাখতে পারে।
তবে বাজারে পাওয়া অনেক আচারে উচ্চমাত্রার সোডিয়াম ও তেল ব্যবহৃত হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। সে তুলনায় ঘরে তৈরি আচার অধিক স্বাস্থ্যকর বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
আচার অন্ত্রের বন্ধু
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বলছে, অন্ত্রের স্বাস্থ্য আমাদের হজম, রোগ প্রতিরোধ ও মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। গাঁজানো আচার প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক সরবরাহ করে, যা অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত ও পরিমিত আচার খাওয়া অন্ত্রের কার্যকারিতা উন্নত করে, বিপাকক্রিয়া ঠিক রাখে এবং শরীরের সামগ্রিক সুরক্ষা বাড়ায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় আচার
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আচারে থাকা প্রোবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। একইসঙ্গে এটি সংক্রমণের বিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করে তোলে।
তবে চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন—যদিও আচার উপকারী, তবুও অতিরিক্ত না খেয়ে পরিমিতভাবে গ্রহণ করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
রাকিব